জাতীয়

সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি সরকারের উন্নয়ন মলিন করে দিচ্ছে

ঢাকা শহরে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা মলিন করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টার দিকে পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডের সুরিটোলা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিন হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

Advertisement

সাঈদ খোকন বলেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এ উন্নয়ন কিছু আচরণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এখন পুরান ঢাকায় রাস্তার মধ্যে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। হাতে লাঠি আর মুখে বাঁশি বাজিয়ে রিকশা, ভ্যান, বাস থামিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ চাঁদাবাজিতে জনগণ আতঙ্কিত। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রিকশায় স্কুলে যাতায়াতের সময় হাতে লাঠি নিয়ে কেউ আসলে ভয় পেয়ে যায়; তাদের সঙ্গে থাকা মায়েরাও ভয় পেয়ে যান। এ কাজ প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা মলিন করে দিচ্ছে।

টোলের নামে যারা চাঁদাবাজি করে তারা সরকারের ভালো চায় না জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, চাঁদাবাজরা দল এবং শেখ হাসিনার ভালো চান না। ভালো চাইলে এসব কাজ থেকে তারা বিরত থাকতেন এবং জনগণের সেবায় কাজ করতেন। আমি আশা করবো দ্রুত এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন, জনগণের কাতারে আসুন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজির বিষয়টি সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে বলেছি প্রধানমন্ত্রীর অর্জন মলিন হয়ে যাচ্ছে। আপনি অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।

Advertisement

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ ধরনের অরাজকতা এবং চাঁদাবাজি অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী জনগণের পাশে আছি, পাশে থাকবো ইনশা আল্লাহ। আপনারা (পুলিশ) এবং আমরা জনগণের হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাবো ইনশা আল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেয়েও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ সরকারের আমলে প্রায় একশ’র ওপরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। যার মাধ্যমে অসহায় মানুষ খেতে পারে, চলতে পারে। ইউনিয়ন লেভেলে কমিউনিট হেলথ কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। কোটি মানুষকে বিনামূল্যে-স্বল্পমূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরের প্রতি ওয়ার্ডে হাজারো অসহায় মানুষকে চাল, ডাল, তেল, লবণ দেওয়া হচ্ছে।

এমএমএ/এমআইএইচএস/জেআইএম

Advertisement