বাঙালির শক্তির মূল জায়গা সংস্কৃতি বলে মন্তব্য করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতির ভিত অনেক মজবুত। আমাদের এ অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্যের যে একটি সংস্কৃতি আছে সেটা বজায় রাখতে হবে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আমরা যে ভবিষ্যতের কথা ভাবি সে ভবিষ্যতটা শুধু প্রযুক্তির বা শুধু অর্থনীতির উন্নয়ন নয়। সে উন্নয়ন আমাদের ভাষার উন্নয়ন, আমাদের সংস্কৃতির উন্নয়ন, আমাদের মানবিকতার উন্নয়ন। আমরা সবদিকেই একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
শনিবার (১১ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবের সমাপনী ও কলিম শরাফী স্মৃতি পুরস্কার ১৪২৯ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘রবীন্দ্রচর্চা একেবারে অপরিহার্য। রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনের সঙ্গে একেবারে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আমাদের বাঙালির হাসি-কান্না, আমাদের যত রকমের বোধ আছে তার যে কোনোটা প্রকাশ করতে গেলে বারবার ফিরে ফিরে রবীন্দ্রনাথের কাছে যেতে হয়।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণার অন্যতম উৎস ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথ থেকেও অনুপ্রাণিত হয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আবার নজরুলের কাছ থেকে নিয়েছেন জয় বাংলা। আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়েই বাঙালির পরিচয়। সে পরিচয়ের ওপর যখন আঘাত এসেছে খুব স্বাভাবিকভাবে আমরা আমাদের আত্মপরিচয়কে ফুটিয়ে তোলবার জন্য, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আরও বেশি করে আমাদের সেই সংস্কৃতির দিকেই ছুটে গিয়েছি। তাকেই আমরা আরও বেশি গ্রহণ করেছি।’
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভাষার ওপরও আঘাত এসেছিল। ভাষা সংস্কৃতির বাহন, সে সংস্কৃতির ওপরে, আমাদের পরিচয়ের ওপরে আঘাতটা এসেছিল। যে ভাষা আন্দোলন থেকে আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনের সূত্রপাত- সে থেকে রবীন্দ্রনাথ আমাদের সঙ্গে ছিলেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি শিল্পী সাজেদ আকবর। এর আগে মন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে কলিম শরাফী স্মৃতি পুরস্কার ও সম্মাননা তুলে দেন।
আইএইচআর/কেএসআর
Advertisement