যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলা হবে ‘ড্রপ ইন পিচে।’ এ ধরনের পিচে বল পড়ে একটু থেমে ও স্লথ হয়ে ব্যাটে আসে। তাই বলগাহীন ব্যাট চালনা কঠিনই হবে। সে কারণেই আইপিএলের মত দুশো-আড়াইশোর উইকেট হবে না। ধরে নেওয়া হচ্ছে ১৮০ রানই হবে লড়াকু ও নির্ভর করার মত পুঁজি।
Advertisement
তাই টিম বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল দেশের মাটিতে ১৮০+ স্কোর গড়ার অভ্যাস করা। কিন্তু তা আর হলো কই? দুই ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্তর দল ব্যাটিং করলো পরে। আর এক ম্যাচে দেড়শো পেরিয়ে ১৬৩ পর্যন্ত গেলেও চার নম্বর ম্যাচে ১৪৩-এই ইনিংস শেষ।
এ অবস্থার উন্নতি যে খুব জরুরি। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ৫ ম্যাচের সিরিজে টানা ৪ জয়ে মন ভরেনি কারও। পারফরমেন্সের গ্রাফ যত ওপরে থাকা দরকার ছিল, তত ওপরে ওঠেনি। বিশেষ করে ব্যাটিংটা একদমই ভালো হয়নি।
ব্যাটাররা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্যের পরিচয় দিতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসের দুর্বলতম দলটির বিপক্ষে বলেকয়ে ২০০ রান বহুদদূরে, ১৭৫-১৮০ রানও তোলা সম্ভব হয়নি।
Advertisement
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ ছিল এমন কিছু করার। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম আর সৌম্য সরকার উদ্বোধনী জুটিতে সে সম্ভাবনা তৈরি করে দিয়েছিলেন। তারা প্রথম উইকেটে ১১.২ ওভারে ১০১ রান তুলেছিলেন। তাওহিদ হৃদয়, নাজমুল শান্ত, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী অনিকদের সামনে সুযোগ ছিল সেই শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে দলকে ১৮০'র ঘরে নিয়ে যাবার। কিন্তু তারা তা পারেননি। এখন শেষ ম্যাচে কি টাইগাররা তা করে দেখাতে পারবেন? সেটাই দেখার বিষয়।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তানজিদ তামিম আর সৌম্য সরকার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, নিজেদের সেরাটা উপহার দিতে পারলে ৬ ওভারের পাওয়ার প্লে’র প্রতি ওভারে ৯+ রান তোলা সম্ভব। বাকিরা সেই ধারা বজায় রেখে খেলতে পারলে কালকের ম্যাচেই ১৮০+ রান করা সম্ভব ছিল। গতকাল শান্তর দল তা পারেনি। ৪৮ ঘণ্টা পর কাল রোববার কি তা হবে?
বিশ্বকাপ ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ৫ ম্যাচের সিরিজে উজ্জ্বল টিম পারফরমেন্স এবং স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল ব্যাটিং পারফরমেন্স দেখতে মুখিয়ে ছিলেন টাইগার সমর্থকরা। নির্জলা সত্য, দুর্বল কমজোরি জিম্বাবুইয়ান লাইনআপের বিপক্ষে বাংলাদেশ তার সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারেনি। এখন শেষ ম্যাচে শান্তর দল অমন ব্যাটিং করে বড়সড় স্কোর গড়ে বড় জয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেই শেষ ভালোর তৃপ্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিতে পারবে। নাহলে ভালো প্রস্তুতি না হওয়ার আক্ষেপ ভোগাতে পারে বিশ্বকাপেও।
এআরবি/এমএমআর/কেএসআর
Advertisement