আন্তর্জাতিক

দ্বিতীয় দফার ভোট শেষেই চোখ ফেটে জল পড়ছে, সামনে দেখুন আরও কী হয়!

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছেন, দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষেই তো চোখ ফেটে জল বেরিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর। এখনো চার দফা বাকি, দেখতে থাকুন কী হয়।

Advertisement

‘মোদী রাজ্যে আসবেন, বড় বড় ভাষণ দেবেন ও চলে যাবেন। লাখ-কোটি রুপি ব্যয় করে শুধু মিথ্যা বলে নিজেদের প্রচার করবেন। আমি বিজেপির কোনো প্রচার দেখলেই টিভি বন্ধ করে দিই, কারণ তাদের মিথ্যা শুনতে আমার আর ভালো লাগে না।’

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ ২০ মে। এ উপলক্ষে শনিবার (১১ মে) হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সমর্থনে সপ্তগ্রামে জনসভায় অংশ নেন মমতা। সেখান থেকেই এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সব বাড়িতেই পানি পৌঁছে দিয়েছেন বলে দাবি করে বেড়াচ্ছেন মোদী। মিথ্যা কথা বলছেন। পানি পৌঁছে দিয়েছি আমরা। ১ কোটি ৭৫ লাখ মানুষের মধ্যে ৭৫ লাখের বাড়িতে খাবারপানি পৌঁছে দিয়েছি আমরা। আর এক বছরের মধ্যে ১ কোটি লোকের বাড়িতেও এই পানি পৌঁছে যাবে।’

Advertisement

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ওঠা নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুনলাম তিনি (রাজ্যপাল) প্রেস ডেকেছিলেন। এডিট করে কিছু ভিডিও দেখিয়েছেন। পুরোটা দেখিয়েছেন কি?

‘আপনারা একটু ভালো করে খুঁজে দেখুন না! আপনারা তো জানেন, কোথায় এডিট হয়। ভয় পাবেন না, আমার কাছে কপি আছে। যেটা এডিট করেছে, সেটাও আমার কাছে আছে। এখনো তো সব বের হয়নি, আরও একটা ভিডিও আমি পেয়েছি। আরও কীর্তি-কেলেঙ্কারি আছে।’

আতঙ্কের সুরে হাত জোড় করে মমতা বলেন, বাবা রে! আমাকে রাজভবনে ডাকলে, আমি আর যাবো না। রাজভবনে আমি আর যাচ্ছি না ভাই। আমাকে রাস্তায় ডাকলে যাবো। রাজ্যপালের কথা বলতে হলে আমাকে রাস্তায় ডাকবেন, আমি রাস্তায় আপনার সঙ্গে কথা বলবো, দেখা করে আসবো। কিন্তু যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি শুনছি, তাতে আপনার পাশে বসাটাও পাপ।

সিভি আনন্দ বোসকে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, মাননীয় রাজ্যপাল, আমার কী দোষ আপনি বলুন? আমি তো পুরো ঘটনা জানিই না। আমাকে বলছেন, দিদিগিরি চলবে না। আপনি ইস্তফাটা কবে দেবেন?

Advertisement

রাজভবনে কর্মরত এক নারী সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। সংবিধানের রক্ষাকবচের জোরে আপাতত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি।

ডিডি/এসএএইচ