ক্যাম্পাস

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে স্মার্ট বানাতে সবার জায়গা থেকে সবাইকে কাজ করতে হবে। তবে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয় থাকতে হবে। আপনার দায়িত্ব আপনি পালন করলে, আমার দায়িত্ব আমি পালন করলে তবেই বাংলাদেশ এগাবে।

Advertisement

শনিবার (১১মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রফেসর হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘ইয়ুথ লিডারলিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমি মন্ত্রী, আমি বড় পদধারী, অনেক সুযোগ-সুবিধা আমার। কিন্তু তারপরও আমি সব কিছু না। আপনার এবং আপনাদের ভূমিকাও মুখ্য। সেটি হলো নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করা। ২০৪১ সালে আমাদের যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি সেটি করতে হলে আমাদের পার ক্যাপিটাল ইনকাম সাড়ে ১২ হাজার ডলার লাগবে।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে বর্তমানে এটি দেড় লাখ ডলার। তারা কীভাবে এটি করেছে? সেটা হলো কমিটমেন্ট। যারা এই কমিটমেন্ট বা ট্র্যাক লাইনের বাইরে গেছে তারা তাদের বিরুদ্ধে কঠিনভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই পিক অ্যান্ড চয়েজ কোনো আইন হতে পারে না। আপনার ভাতিজাকে দেখলে ছেড়ে দেবেন আর আরেকজনকে দেখলে জেলে দেবেন এগুলোর মাধ্যমে কাজ হবে না।

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কাজ করছি। সবাইকে কাজ করতে হবে। সারা পৃথিবীর মানুষ উন্নত হচ্ছে। আমরা উন্নত হবে। আর যদি না হই তাহলে এটির জন্য আমরা সবাই দায়ী। জাপানে কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ নেই যেটা তাদের অর্থনীতিকে চাঙা করবে। কিন্তু তারপরও তারা আজ কত উন্নত। আমাদের কিছুটা হলেও সম্পদ আছে। সুতরাং আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

গণতন্ত্র নিয়ে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, অনেকে আমাদের দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন। আমাদের গণতন্ত্রকে আফহোল্ড করতে কাজ করার ব্যাপারে আমরা অবশ্যই কমিটেড। কিন্তু আপনি যদি আমাদের ইউরোপের গণতন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেন যারা কোনো বাধা ছাড়াই শত শত বছর গণতন্ত্র চর্চা করেছে, এটা কোনো সঠিক তুলনা হতে পারে না। বিশ বছরের সামরিক শাসন বাদ দিলে আমাদের গণতন্ত্রের যাত্রা ত্রিশ বছরের বেশি নয়। সুতরাং ২০০ বছরের সঙ্গে ৩০ বছরের তুলনা কখনো হয় না। সুতরাং আমরা আস্তে আস্তে এগাচ্ছি।

সিম্পোজিয়ামের শুরুতে ‘লিডারশিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মো.আসিফ হোসাইন খান।

অনুষ্ঠানে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. শারিন শাজাহান নওমির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। এর আগে সিম্পোজিয়ামের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং একটি প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

হাসান আলী/এমআরএম/জেআইএম