বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বৈদেশিক অনুদান পৃথকভাবে বিবেচনা করে ব্যয় করা হয়। মূলত এডিপি ব্যয় সরকারি খাত ও বৈদেশিক ঋণ অনুদান থেকে মেটানো হয়। জাপান ঋণ মওকুফ অনুদান তহবিল (ডিআরজিএ) এবং জাপান ঋণ মওকুফ অনুদান প্রতিরূপ তহবিল (ডিআরডিএসিএফ) সরকারি অর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ।
Advertisement
নতুন এডিপি নিয়ে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি’ শীর্ষক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই বিষয়টি ছাড়াও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হয়।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, যে সব প্রকল্পে সরকারি বা বৈদেশিক অর্থায়নের পাশাপাশি বাস্তবায়নকারী সংস্থার অর্থায়ন রয়েছে সে সব প্রকল্পের ক্ষেত্রে স্ব-অর্থায়নকৃত অর্থের বরাদ্দ প্রতিফলন করতে হবে। সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও কাঙ্খিত সুফল প্রাপ্তি বিবেচনায় এডিপিতে নতুন প্রকল্প গ্রহণের চেয়ে চলমান প্রকল্প যথাসময়ে সমাপ্ত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন
Advertisement
পরিকল্পনা কমিশন আরও জানায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত অননুমোদিত নতুন প্রকল্প যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদিত হওয়ার পর অর্থায়নের জন্য ‘থোক বরাদ্দ’ এ মোট বরাদ্দের ন্যূনতম ৫ শতাংশ অর্থের সংস্থান রাখতে হবে। এলাকা-অঞ্চলভিত্তিক সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে এডিপিতে গৃহীত প্রকল্পসমূহে বরাদ্দ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। অননুমোদিত নতুন প্রকল্পসমূহের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সভা আয়োজন করে যৌক্তিক হারে প্রকল্প সংখ্যা নির্ধারণ করে প্রকল্প প্রস্তাব দিতে হবে। সার্বিকভাবে ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অভিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিশেষ করে আয় বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিসহ দারিদ্র্য নিরসন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃজন, মানবসম্পদ উন্নয়ন (শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা), কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি, নগর উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়ন, আইসিটি উন্নয়ন করতে হবে। পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন উন্নয়ন, জেন্ডার সমতা, আয় বৈষম্য হ্রাস ও সামাজিক সুরক্ষা, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত টেকসই, জেন্ডার সংবেদনশীল ও ঝুঁকি সচেতনতা বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
এমওএস/এসএনআর/এমএস