আন্তর্জাতিক

৫০ দিন পর মুক্ত কেজরিওয়াল, ‘একনায়কতন্ত্র’ আটকানোর আহ্বান

৫০ দিন পর জেল থেকে মুক্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এরপর রাতেই তিহার জেল থেকে ছাড়া পান আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা।

Advertisement

কেজরিওয়ারের জেলমুক্তির পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। রাজপথে তাকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাও।

আরও পড়ুন>>

সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি/ জামিন পেলেন কেজরিওয়াল যে অভিযোগে গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভোট ঘোষণা হতেই বিরোধীদের ধরপাকড় চলছে, অভিযোগ কংগ্রেস-তৃণমূলের

এসময় সমর্থকদের উদ্দেশে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের জন্যই আমি আপনাদের সামনে। আমাদের দেশকে একনায়কতন্ত্র থেকে বাঁচাতে হবে।

Advertisement

এএপি নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ দাবি করেছেন, জেল থেকে কেজরিওয়ালের মুক্তি ইন্ডিয়া জোটের জন্য ‘গেমচেঞ্জার’ হয়ে উঠবে। ফলে ভোটের মাঠে বাড়তি সুবিধা পাবে বিরোধী দলগুলো।

আগামী ১ জুন পর্যন্ত জামিনে থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর পরদিনই তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর মধ্যে নতুন করে জামিন না পেলে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনার দিন (৪ জুন) জেলেই কাটাতে হবে কেজরিওয়ালকে।

আরও পড়ুন>>

চার দিন বাড়লো কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু ১৯ এপ্রিল, ফলাফল ৪ জুন

আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ গ্রেফতার করা হয় তাকে। এরপর থেকেই জামিন পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন, তবে তা খারিজ করে দেন আদালত। তারপরই সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন জানান এএপি সুপ্রিমো।

Advertisement

গত মঙ্গলবারের শুনানিতেই কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। তারা জানান, এই ভোটের আবহে মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে সেদিনই সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেন, কেজরিওয়াল জামিন পেলেও আপাতত সরকারি কোনো ফাইলে সই করতে পারবেন না তিনি।

সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/