আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি নিজেদের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ কর্মকাণ্ডে ইসরায়েল হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এমনটি মনে করার মতো যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। অবশ্য তবুও ইসরায়েলের কথা অবিশ্বাস করছে না তারা।
Advertisement
মার্কিন প্রশাসন বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই করার মতো পূর্ণাঙ্গ তথ্য তাদের কাছে নেই। এ কারণে, আইন মেনেই মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, ইসরায়েলের এই আশ্বাসকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন>>
ইসরায়েলকে শাসালেন বাইডেন বাইডেনের হুঁশিয়ারি তোয়াক্কা না করে রাফায় হামলা চালালো ইসরায়েল ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঐতিহাসিক প্রেম’বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে একটি নতুন জাতীয় নিরাপত্তা মেমোরেন্ডাম (এনএসএম) ইস্যু করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেটি অনুসারে, মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের আইন বা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে না, ইসরায়েলের এমন আশ্বাস বিশ্বাসযোগ্য কি না তা জানাতে বলা হয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে।
Advertisement
শুক্রবার (১০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই করার মতো পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেয়নি ইসরায়েল।
আরও পড়ুন>>
বাইডেন-নেতানিয়াহুর বন্ধুত্বে ফাটল? প্রয়োজন হলে ইসরায়েল একাই যুদ্ধ চালিয়ে যাবে: নেতানিয়াহু ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার আহ্বান অ্যামনেস্টির‘তবে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ওপর ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য নির্ভরতার পরিপ্রেক্ষিতে এটি মূল্যায়ন করা যুক্তিসঙ্গত যে, এনএসএম-২০র আওতায় থাকা মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জামগুলো গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ব্যবহার করছে ইসরায়েলি বাহিনী, যেখানে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বাধ্যবাধকতা বা বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর প্রতিষ্ঠিত অনুশীলনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঘটনা থাকতে পারে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আচমকা হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকেই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় এরই মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
Advertisement
গত এপ্রিলের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে বলেছিল, বেসামরিক মৃত্যু, আঘাতের নির্দিষ্ট ঘটনা এবং বেআইনিভাবে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের উদাহরণগুলোর বর্ণনা বলে দিচ্ছে, ইসরায়েলকে সরবরাহ করা মার্কিন অস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইনের ‘গুরুতর লঙ্ঘনে’ ব্যবহার করা হয়েছে।
কেএএ/