ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ মে। এই দফায় পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হবে বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর ও বীরভূম কেন্দ্রে। তার আগে আবারও নির্বাচনী প্রচারণায় রাজ্যে এলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
Advertisement
শুক্রবার (১০ মে) পশ্চিমবঙ্গে তিনটি জনসভা করেছেন এ বিজেপি নেতা। এদিন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে দলটির প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে রামপুরহাটে জনসভা করেন অমিত শাহ। সেখানে বক্তব্যের শুরু থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন>>
বিজেপিকে ‘বাঙালিবিদ্বেষী’ বলে কটাক্ষ মমতার মমতার ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন অমিত শাহ দুর্নীতির অভিযোগে কোণঠাসা তৃণমূল, উজ্জীবিত বিরোধীরাতৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অবৈধ বালি পাচার, গরু পাচার ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অমিত শাহ বলেন, গুজরাটে বলে, জেলায় একটা নদী থাকলেও পুরো জেলা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে ভরে থাকে। কিন্তু আমরা দেখছি, বীরভূম জেলায় ১৯টি নদী বয়ে চলেছে। অথচ ৩৪ বছর ধরে কমিউনিস্টদের এবং অত্যাচারী তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে এই নদীগুলোই দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের সিন্ডিকেট অবৈধ বালি খনন, অবৈধ পাথর উত্তোলন, কয়লা ও অবৈধ গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এই সিন্ডিকেট মমতা ব্যানার্জীর ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইশারায় চলছে।
Advertisement
এসময় তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মমতাদি, আপনি যদি ভেবে থাকেন, এই দুর্নীতিগ্রস্ত সিন্ডিকেট আপনাকে নির্বাচনে জিতিয়ে দেবে, তাহলে ভুল ভাবছেন। এখানে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নরেন্দ্র মোদির কাছে ৩০টি আসন যাবে।
আরও পড়ুন>>
পরের জন্ম হয়তো বাংলাতেই হবে: মোদী গরমের মধ্যেও ছুটে বেড়াচ্ছেন মোদী, রোজ করছেন ৪ জনসভা ভোটের আবহে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ‘অপব্যবহার’ হচ্ছে?তিনি বলেন, এই বীরভূম মমতা দিদির জন্মস্থান। আমি তাকে প্রশ্ন করতে চাই, ১৫ বছর আপনি সরকারে রয়েছেন। তবু আপনার জেলায় এখনো বড় কোনো শিল্প তৈরি হয়নি কেন? এখানকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাজের জন্য কেন বাইরে যেতে হয়? এতগুলো নদীর থাকা সত্ত্বেও এখানকার নাগরিকরা বিশুদ্ধ খাবার পানি পায় না কেন?
এদিন সবার শেষে আসানসোলে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে একটি রোড শোতে অংশ নেন অমিত শাহ।
Advertisement
ডিডি/কেএএ/