বোয়িংয়ের দুঃসময় যেন কিছুতেই কাটছে না। একের পর এক দুর্ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছে মার্কিন প্লেন নির্মাতা সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তাদের আরও একটি প্লেন।
Advertisement
এদিন তুরস্কের একটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় টায়ার ফেটে গেছে কোরেন্ডন এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭ মডেলের প্লেনটিতে। এসময় সেটিতে ১৯০ জন আরোহী ছিলেন। তবে তারা সবাই অক্ষত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রী আবদুলকাদির উরালোগ্লু।
আরও পড়ুন>>
মাঝ আকাশে ভেঙে গেলো দরজা, বোয়িং প্লেনের কার্যক্রম বন্ধ বোয়িংয়ের প্লেনে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরি অবতরণ প্লেনের সুরক্ষা বিতর্ক/ পদত্যাগ করছেন বোয়িং সিইওতিনি জানান, জার্মানির কোলোন থেকে আসা কোরেন্ডন এয়ারলাইনসের প্লেনটি দক্ষিণ তুরস্কের আলান্যা-গাজিপাসা বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করছিল। এসময় সেটির সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার স্ট্রট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Advertisement
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তুর্কি মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সংশ্লিষ্ট সব ইউনিট মাঠে ছিল এবং সতর্ক ছিল। আল্লাহকে ধন্যবাদ, ১৮৪ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রুর মধ্যে কেউ আহত হননি।
প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা গেছে, রানওয়ের কোনো ক্ষতি হয়নি। দুর্ঘটনার পর রানওয়েটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল।
Corendon Europe işletmesindeki Boeing-737-800 tipi uçağın burun iniş takımı kırılmış; bunun sonucunda lastiği patlamış ve ön dikmesi zarar almıştır.Her zaman olduğu gibi olayın ardından ilgili tüm birimlerimiz sahaya inmiş ve teyakkuza geçmiştir.Çok şükür ki, 184 yolcuda ve 6… pic.twitter.com/BZuDczMaer
— Abdulkadir URALOĞLU (@a_uraloglu) May 9, 2024এর আগে, গত বুধবার সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়াই ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফেডএক্স এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৬৭ কার্গো প্লেন। ওই ঘটনার তদন্ত করছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
আরও পড়ুন>>
বাংলাদেশের বিমানে বোয়িং প্লেন যুক্ত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ইঞ্জিন বিকলের পর বিশ্বজুড়ে বোয়িং ৭৭৭ বিমানের উড্ডয়ন বন্ধ বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স নিষিদ্ধ হচ্ছে ভারতেবৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনার পর আলান্যা-গাজিপাসা বিমানবন্দরের অন্য ফ্লাইটগুলো আন্তালিয়ার প্রধান বিমানবন্দর এবং অন্যান্য নিকটবর্তী বিমানবন্দরগুলোতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি পরিবহনমন্ত্রী।
কোরেন্ডন এয়ারলাইনস এক বিবৃতিতে বলেছে, টায়ার ফেটে যাওয়ার পরও প্লেনটি নিরাপদে রানওয়েতে থামতে সক্ষম হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবতরণের সময় টায়ার ফেটে যাওয়া তুলনামূলকভাবে সাধারণ ঘটনা। এর জন্য সাধারণত ছোটখাটো মেরামতের প্রয়োজন হয়। তবে টায়ারের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান বা কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্সকেএএ/