আসন্ন জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে ২০ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি সংস্থা ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ দাবি তুলে ধরেন সংস্থাটি।
Advertisement
সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়-বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার জন্য অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। পাশাপাশি উপবৃত্তির সংখ্যা এবং পরিমাণ বাড়ানো জরুরি। শুধু প্রাথমিক নয়, মাধ্যমিক পর্যায়েও মিড ডে মিল সর্বজনীনভাবে চালু করতে হবে। এজন্য শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।
ঢাকায় ‘বিদ্যালয়-বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার চ্যালেঞ্জ: সমাধান কোন পথে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছা. নূরজাহান খাতুন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়। সঞ্চালনা করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।
Advertisement
মতবিনিময় সভায় সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, গবেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। এতে তারা নিজেদের প্রশ্ন ও সুপারিশ তুলে ধরেন। পরে অতিথিরা সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন তারা।
এর আগে সভার শুরুতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের কার্যক্রম ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করা সত্ত্বেও বিবিএসের ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, গত বছর প্রায় ৪১ শতাংশ শিশু-কিশোর ও যুবরা শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে ছিল। সরকার এরই মধ্যে ১০ লাখ ঝরেপড়া শিশু-কিশোরকে শিক্ষায় ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রবন্ধে বলা হয়, প্রকল্পভিত্তিক স্বল্পমেয়াদি এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা থাকে না বলে এ শিক্ষা টেকসই হয় না। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর তেমন কোনো কাজেও আসে না। সে কারণে এটিকে প্রকল্পভিত্তিক না রেখে পিইডিপি-৫ পরিকল্পনায় মূলধারার কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
এএএইচ/এমএএইচ/এমএস
Advertisement