জুয়া ও হুন্ডির কারণে মুদ্রাপাচার বাড়ছে এবং এর ফলে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম. আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপক প্রসারের কারণে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ও ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে লেনদেনের মাত্রা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তিগত এ উন্নয়নের সুবিধা কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু চক্র অনলাইন জুয়া-বেটিং, গেমিং, ফরেক্স, ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং ও হুন্ডি প্রভৃতি অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন
Advertisement
তিনি বলেন, এর ফলে একদিকে যেমন দেশ থেকে মুদ্রা পাচার বেড়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অনলাইন জুয়া-বেটিং ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার রোধসহ সব ধরনের অর্থপাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সংশ্লিষ্ট অন্য আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। অনলাইন জুয়া-বেটিং এবং হুন্ডির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫৮৬টি ব্যক্তিগত এমএফএস হিসাব বিএফআইইউ কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত অভিযোগে পাঁচ হাজার ৭৬৬ জন এজেন্টের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে তাদের তথ্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে হুন্ডি লেনদেনে জড়িত সন্দেহে পাঁচ হাজার ২৯টি এমএফএস এজেন্টশিপ এরই মধ্যে বাতিল করা হয়েছে। হুন্ডির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে ২১টি মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৩৯টি হিসাবের তথ্যাদি সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
Advertisement
অবৈধ হুন্ডি, গেমিং, বেটিং, ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এমএফএস প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিএফআইইউয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এ পর্যস্ত ১০ হাজার ৬৬৬টি এমএফএস এজেন্ট হিসাবের লেনদেন ব্লক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইএইচআর/এমকেআর/এমএস