সময়ের সাথে সাথে আমাদের বয়স বাড়তে থাকে। শিশুকাল থেকে যৌবনকাল, যৌবনকাল থেকে আসে বৃদ্ধকাল। বয়স্করা সাধারণত শারিরিক, মানসিকভাবে হয়ে পড়ে দুর্বল ও অসহায়। তাই আপনার ঘরের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষটির প্রতি লক্ষ রাখতে হবে।বৃদ্ধ বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানির প্রতি আপনাকে হতে হবে যত্নশীল। তারা যেন কোনোভাবে নিজেদের তুচ্ছ, অবহেলিত মনে না করেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের চেয়ে বৃদ্ধদের একটু বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বয়স্করা মানসিকভাবে অনেক ষ্পর্শকাতর হয়ে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।বৃদ্ধদের কোন কাজে বিরক্ত হওয়া যাবে না। কারণ বয়স বাড়লে স্বভাবসুলভ কারণে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। আপনাকে সে কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন, দেখবেন সে ঠিকই বুঝতে পারবে।কোনো ঔষধ সেবন করে থাকলে, তা নিয়মিত খাইয়ে দিন। খাবারের ব্যাপারেও দিতে হবে বাড়তি গুরুত্ব। লক্ষ রাখুন এই বয়সে তাদের কী খেতে হবে, আর কী খাওয়া উচিত না।আপনার ঘরের শিশুটিকে শেখান কীভাবে বয়স্কদের সাথে আচরণ করতে হবে। জানার চেষ্টা করুন তিনি কেমন আছেন, শরীর ভালো আছে কিনা। কোনকিছু জানতে চাইলে সাবলিল ভাবে তা জানান। চাইলে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যান। কিছু শারীরিক পরীক্ষা প্রতিদিন ঘরে করতে পারেন যেমন- ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার। বৃদ্ধরা অনেক সময় অসুস্থতার কথা জানাতে চায় না, তাই আপনি জানার চেষ্টা করুন তার শারীরিক অবস্থা কেমন। প্রয়োজন হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।পরিবারের যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাকে প্রাধান্য দিন। তার মতামতের গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এসব বিষয়গুলোতে হয়তো তাদের মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে।আপনার পারিবারের বয়স্ক লোকটিকে বেশি বেশি সময় দিন, যত্ন নিন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন।এইচএন/পিআর
Advertisement