ধর্ম

আল্লাহ যাদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করেন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নবুয়তের প্রমাণ নিতে কুরআন নাজিলের পর পূর্ববর্তী কিতাবের অনুসারীরা পরীক্ষামূলক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আসে। ঘটনাক্রমে তারা আল্লাহর ফেরেশতাদেরকে তাদের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে। ফলে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করে বলেন-হে রাসুল! আপনি বলুন, যে ব্যক্তি জিব্রাঈলের সঙ্গে শত্রুতা রাখে (সে রাখুক) সে আল্লাহর হুকুমে এ কুরআনকে আপনার অন্তকরণ পর্যন্ত পৌঁছিয়েছে, যে অবস্থায় তা স্বীয় পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যতা প্রমাণ করছে, পথ দেখাচ্ছে মুমিনদের এবং সুসংবাদ দিচ্ছে। যে ব্যক্তি আল্লাহ, তার ফেরেশতাগণের, তার রাসুলগণের এবং জিব্রাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চয়ই আল্লাহ এরূপ কাফিরদের শত্রু। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৯৭-৯৮)রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের পর নবুয়তের সত্যতা প্রমাণে তারা বিশ্বনবীকে কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের একটি প্রশ্ন ছিল- কোন ফেরেশতা ওহি নিয়ে আসেন? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম। এ কথা শুনে তারা বলে উঠলেন, তার পরিবর্তে যদি অন্য কেউ আপনার নিকট ওহি নিয়ে আসতো, তাহলে আমরা ইসলাম গ্রহণ করতাম।ইয়াহুদি পণ্ডিতরা বললো সে তো আমাদের দুশমন, সে আমাদের গোপন তথ্যাবলী মুহাম্মাদকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলে দেয়। সে আজাব, দুর্ভিক্ষ ও কঠোরতার সংবাদ নিয়ে আসে।তাদের কথার প্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা কুরআনের আয়াত নাজিল হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সামনে এ আয়াত তিলাওয়াত করেন।সুতরাং ফেরেশতাদের গালি দেয়া, তাদের সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করাসহ ইত্যাদি বিষয়ে বিরত থাকা আল্লাহর বিধান। অনেক মানুষ আছে, যারা কারণে-অকারণে, বুঝে-না বুঝে নবী-রাসুল, ফেরেশতাদের দোষারোপ করে। যা অজ্ঞতার শামিল এবং মারাত্মক অন্যায় কাজ। যে কারণে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তাদের সঙ্গে শত্রুতা পোষণের কথা উল্লেখ করেছেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ ধরনের গর্হিত কাজ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। নবী-রাসুল, ফেরেশতা, আসমানি কিতাবসহ ঈমানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর

Advertisement