জাতীয়

২০২১-২২ অর্থবছরে পল্লীবিদ্যুতের লোকসান ৫২৪ কোটি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) আওতাধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকসান ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ১৩ হাজার ২৯ টাকা।

Advertisement

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আয় ছিল ৩১ হাজার ২৪৮ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৪১৭ টাকা। ব্যয় হয়েছে ৩১ হাজার ৭৭১ কোটি ৯১ লাখ ৪ হাজার ৪৪৭ টাকা। সেই হিসাবে প্রায় ৫২৪ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মুনাফা হয়েছিল ৫০ কেটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এসময়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আয় হয়েছিল ২৮ হাজার ৭১৫ কোটি ৩০ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৬ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ২৮ হাজার ৬৬৫ কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৯ টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরের লোকসানের মূলকারণ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুচরা মূল্যহার পাইকারি মূল্যহারের চেয়ে কম হওয়া। ভবিষ্যতে মূল্য সমন্বয় হলে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিগুলো লোকসান থেকে মুক্ত হবে।

Advertisement

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে ১১ হাজার ৮৮০ মেগাওয়াট, ফার্নেস অয়েল থেকে ৬ হাজার ৩৫ মেগাওয়াট, ডিজেল থেকে ৬২৬ মেগাওয়াট, কয়লা থেকে ৫ হাজার ১০৮ মেগাওয়াট, হাইড্রো থেকে ২৩০ মেগাওয়াট এবং সৌর ও বায়ু থেকে ১ হাজার ২২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬৯ টি অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন কূপ খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ছয়টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।

সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে কয়লাভিত্তিক ৪ হাজার ৮৫৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র বর্তমানে চালু আছে। প্রতিবেশী ভারত থেকে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ৩ হাজার ৭০১ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।

আইএইচআর/এমএএইচ/এএসএম

Advertisement