লাইফস্টাইল

গরমে বেলের শরবতে মিলবে যত উপকার

গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানির ঘাটতি হয়। তাই এ সময় হাইড্রেট থাকার বিকল্প নেই। এমন কিছু পানীয় আছে, যা পান করলে মিটবে শরীরে পানির ঘাটতি। পাশাপাশি ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া খনিজের অভাবও পূরণ হবে।

Advertisement

পুষ্টিবিদদের মতে, এই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে বেলের শরবত বেশ উপকারী। এতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদানসহ অনেক পুষ্টিগুণ। প্রচণ্ড গরমে এক গ্লাস বেলের শরবত আমাদের শরীরকে ঠান্ডা ও মনকে চাঙ্গা করতে পারে।

এটি পেটের জন্যও উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটফাঁপা, হজমের গণ্ডগোল সারাতেও এই শরবত বেশ উপকারী। এছাড়া গরমে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে বেলের শরবতের জুড়ি মেলা ভার।

গবেষণায় দেখা গেছে, পাকা বেলে আছে মেথানল নামের একটি উপাদান। যা ব্লাড সুগার কমাতে অনবদ্য কাজ দেয়। এছাড়া পাকা বেলে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা যক্ষ্মা কমাতেও সাহায্য করে।

Advertisement

বেলে আরও আছে ভিটামিন এ,সি ও প্রচুর খনিজ উপাদান। এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের পুষ্টি জোগায় ও চোখের সুরক্ষায় সহায়ক। ভিটামিন সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে গ্রীষ্মকালীন রোগগুলো থেকে সুস্থ থাকা যায়।

এছাড়া বেলে ন্যাচারাল ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই এটি পেটে গ্যাস-এসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গরমে প্রতিদিন বেলের শরবত খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।

আরও পড়ুন

গরমে শরীরে কোন পুষ্টি বেশি জরুরি? কোন খাবারে মিলবে? পেট ভরে খাওয়ার ভুলে হতে পারে যেসব রোগ

পরিশ্রমের পর এক গ্লাস বেলের শরবত সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে প্রাণবন্ত করে তোলে। কীভাবে বেলের শরবত তৈরি করবেন-

Advertisement

উপকরণ

১. বেল ১টি২. পানি ৫ কাপ৩. লবণ (পরিমাণমতো)৪. চিনি ৪ টেবিল চামচ৫. পুদিনা পাতা এক মুঠো ও৬. বরফের টুকরো। পদ্ধতি

প্রথমে একটি বেল ভেঙে তার ভেতর থেকে শাঁস বের করে একটি পাত্রে রাখুন। এবার শাঁসটি হাত দিয়ে ভালো করে চটকে নিন। এরপর বীজগুলো ছেঁকে নিন।

এরপর চিনি ও সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ না চিনি গলে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। লবণ-চিনি গলে গেলে বেলের সঙ্গে আস্তে ধীরে পানি মিশিয়ে নিন।

ঘনত্ব কেমন রাখতে চান, সেই বুঝে পানি মেশাবেন। তৈরি আপনার বেলের শরবত। এবার একটি কাচের গ্লাসে কয়েক টুকরো বরফ ও পুদিনা পাতার কুচি দিয়ে শরবত ঢেলে নিন। এবার ঠান্ডা ঠান্ডা বেলের শরবত পরিবেশন করুন।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

জেএমএস/এএসএম