জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, প্রতিটি শিশুকে উন্নত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং সব ক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের সময়ে কোনো শিশুই অবহেলিত থাকবে না।
Advertisement
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে অ্যাকশন ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত ‘গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপে সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, রুমা চক্রবর্তী, লায়লা পারভীন, অণিমা মুক্তি গোমেজ এবং আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শিশু সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে ডেপুটি স্পিকার বলেন, শিশু সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও শুধু আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা দেওয়া কঠিন। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুর মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে তাদের গৃহকর্তার সন্তানের মত বিবেচনা করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে গৃহকর্মী নিয়োগে বিধিমালা তৈরি করতে হবে। প্রতিটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষাও বাধ্যতামূলক করতে হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিশু সুরক্ষা, প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ও নারীদের অধিকার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার অত্যন্ত আন্তরিকার সঙ্গে বহুমুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে কর্মক্ষম মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করছে সরকার।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন শিশু বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন খান। এএসডির কর্মসূচি পরিচালক হামিদুর রহমানের সঞ্চালনায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তমকো উচিয়ামা, ইউনিসেফ প্রতিনিধি ফাতেমা খাইরুন্নাহার, ওয়ার্ল্ড ভিশনের ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অফিসার জামাল উদ্দিন, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, লেবার ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মিতু খাতুন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তাহেফা সামিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আইএইচআর/এমকেআর/এমএস
Advertisement