লাইফস্টাইল

গরমে হাঁপানির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে ৭ উপায়

হাঁপানির সমস্যা কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মকও হতে পারে। হাঁপানি মূলত একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা। এক্ষেত্রে শ্বাসনালিতে প্রদাহ দেখা দেয় ও নালি সংকীর্ণ হয়ে যায়। ফলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে শক্ত হয়ে যাওয়া ও তীব্র শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা দেয়।

Advertisement

আজ বিশ্ব হাঁপানি দিবস। এ দিবসের লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী হাঁপানি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। প্রতিবছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার দিবসটি পালন করা হয়।

বিশ্ব হাঁপানি দিবস ২০২৪ এর থিম হল ‘অ্যাজমা শিক্ষায় ক্ষমতায়ন’। এই বছরের থিম হলো আক্রান্তদের হাঁপানি ব্যবস্থাপনা ও সময়মতো চিকিৎসা সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষিত করে তাদের ক্ষমতায়নের উপর নজর রাখা।

শীতে তো বটেই গরমেও নানা কারণে বেড়ে যেতে পারে হাঁপানি। গরমে শুষ্ক ও আর্দ্র আবহাওয়া বায়ুপথকে সংকীর্ণ ও শক্ত করে তোলে। হাঁপানিতে আক্রান্তদের এ ধরনের পরিস্থিতিতে শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।

Advertisement

তাই এ সময় সতর্ক থাকতে হবে হাঁপানির রোগীদের। একই সঙ্গে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি টিপস অনুসরণ করতে পারেন, জেনে নিন কী কী-

এ বিষয়ে ভারতের গুরুগাঁওয়ের সিকে বিড়লা হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পালমোনোলজির প্রধান ডা. কুলদীপ কুমার গ্রোভার কয়েকটি টিপস শেয়ার করেছেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৭ টিপস-

১. দিনের বেলায় যদি কোনো কাজ থাকে, তাহলে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বের হবেন না। আর অবশ্যই দুপুর ১২টা থেকে ৪টার মধ্যে বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন।

২. শীত হোক বা গ্রীষ্ম, ঋতু পরিবর্তনের আগেই আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও তা মেনে চলুন। গরমে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন, তাই নিয়ম মেনে চলুন।

Advertisement

আরও পড়ুন

এই গরমে এসি নাকি এয়ারকুলার কোনটি কিনবেন? গরমে শরীরে কোন পুষ্টি বেশি জরুরি? কোন খাবারে মিলবে?

৩. হাঁপানির ইনহেলার সরাসরি সূর্যালোক থেকে দূরে রাখুন। ইনহেলার বন্ধ ও ঠান্ডা জায়গায় রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৪. হাঁপানির যত্নে, আপনার হাঁপানি শুরু থেকেই ভালোভাবে পরিচালিত হয়েছে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার হাঁপানি নিয়ন্ত্রক ওষুধগুলি নিয়মিত গ্রহণ করতে মনে রাখবেন ও সর্বদা উদ্ধারকারী ওষুধগুলি হাতে রাখুন।

৫. সব সময় হাইড্রেটেড থাকতে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

৬. সর্বদা আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও তাপমাত্রার উপর নজর রাখুন। আর সে অনুযায়ী বাইরে বের হন। আর অবশ্যই রোদে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন। সঙ্গে পানির বোতল রাখুন।

৭. ঘরে একটি এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঘরের ভেতরের বায়ু দূষণ কমাতে চেষ্টা করবে ও শ্বাসকষ্টের লক্ষণও কমাবে।

সূত্র: এনডিটিভি

জেএমএস/এমএস