এই সময়ে প্রায়ই প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে হয় বজ্রপাতও। এতে প্রতি বছরই অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। এই বজ্রপাত আল্লাহ তাআলার শক্তিমত্তার এক মহা নিদর্শন। বজ্রপাত হচ্ছে আসমানি দুর্যোগ। মানুষকে অন্যায় থেকে বিরত রাখার সতর্কবার্তা।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা ‘রাদ’ নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করেছেন। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে বজ্রপাত থেকে বেঁচে থাকতে শিখিয়েছেন দোয়া। যারা এ দোয়া পড়বেন, আল্লাহ তাআলা তাদের বজ্রপাতের ক্ষতি থেকে হেফাজত করবেন।
হাদিসে এসেছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বজ্রের শব্দ শুনতেন বা বিদ্যুতের চমক দেখতেন; তখন সঙ্গে সঙ্গে বলতেন-
اَللَّهُمَّ لَا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَ لَا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَ عَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ
Advertisement
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগাদাবিকা ওয়া লা তুহলিকনা বিআজাবিকা, ওয়া আ’ফিনা ক্ববলা জালিকা।’ (তিরমিজি)
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! তোমার ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমাদের মেরে ফেলো না। আর তোমার আজাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। এর আগেই আমাদের ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করো।
‘মুসান্নাফে আবি শায়বা’য় বজ্রের আক্রমণে মৃত্যু থেকে বাঁচতে ছোট্ট একটি তাসবিহ পড়ার কথা বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি এ তাসবিহ পড়বেন; তিনি বজ্রপাতের আঘাত থেকে মুক্ত থাকবেন। তাসবিহটি হলো-
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ
Advertisement
উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আসমানি দুর্যোগ বজ্রপাত থেকে মুক্ত থাকতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এসইউ/জিকেএস