গরম পড়লেই এয়ার কুলার বা এয়ার কন্ডিশনার কেনার হিড়িক পড়ে যায়। দামের দিক থেকে এসির চেয়ে এয়ার কুলার অনেকটাই সস্তা। আবার এতে বিদ্যুতের বিলও আসে কম।
Advertisement
মূলত এয়ার কুলারে ঠান্ডা পানি ভরলেই, ঠান্ডা বাতাস ঘরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে এয়ার কন্ডিশনার বাতাস ফিল্টার করে রুমে পাঠায়। আবার দামের দিক থেকে এয়ার কন্ডিশনার বেশ এগিয়ে। এতে বিদ্যুৎ বিলও আসে বেশি।
ছোট ঘরের জন্য এয়ার কুলার খুবই কার্যকরী। এয়ার কুলার এমন একটি কৃত্রিম ডিভাইস, যেটি পানিকে বাষ্পে পরিণত করে, ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করে। এ কারণে ঘরের গরম তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়ে, ঠান্ডা বা শীতল হয়।
এয়ার কুলারের মধ্যে আসলে একটি পানির ট্যাংক থাকে। সেখানে পানি দিয়ে ভর্তি করে এয়ার কুলার চালু করলেই কূলারের পাখাটি ঘুরতে থাকবে ও ধীরে ধীরে ট্যাংকে থাকা পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে, ঘর শীতল করবে।
Advertisement
১. এয়ার কন্ডিশনানের তুলনায় অনেক কম ব্যয়বহুল২. কোনো রকম ইনস্টলেশনের ঝামেলা নেই৩. কম জায়গা দখল করে৪. এয়ার কুলার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে সরানো যায়৫. চাইলে এয়ার কুলার ভাড়া দিয়ে আয়ের রাস্তাও খুলতে পারেন।
অন্যদিকে ঘর বড় হলে এয়ার কন্ডিশনার বসানোই ভালো। যদিও এটি অনেক সময় যাদের অ্য়ালার্জি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য অসুবিধা বয়ে আনতে পারে।
আরও পড়ুন
বরফ পানি দিয়ে গোসল কি শরীরের জন্য ভালো? এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখবেন যেভাবেআর ঘরে যদি ছোট শিশু থাকে কিংবা সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত কেউ থাকেন, তাহলে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। যারা একান্তই এসির বাতাস নিতে পারন না, তারা এর থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। আর অবশ্যই অ্যাজমা ও সিওপিডি রোগীরা সচেতন থাকুন।
Advertisement
এমনকি দিনের বেশিরভাগ সময় এসিতে থাকাও কিন্তু শরীরের জন্য ভালো নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর তাপমাত্রা ঠিক কত থেকে কত এর মধ্যে রাখতে হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। না হলে সুস্থ মানুষের শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
বিশেষ করে এসি খুব কম তাপমাত্রায় চালানো থাকলে বাইরের সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রার বিরাট পার্থক্য তৈরি হয়। এই কারণে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। অনেকেই বাইরে থেকে এসে সরাসরি এসিতে প্রবেশ করার ফলে দেহের তাপমাত্রা হুট করেই বদলে যাচ্ছে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই এসির তাপমাত্রা নিয়ে সবাইকে সচেতন।
এসির তাপমাত্রা সঠিক লেভেলে রাখা উচিত। ২২-২৮ এর মধ্যে এসির তাপমাত্রা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই তাপমাত্রার মধ্যে শরীর নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। আবার সর্দি-জ্বর হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই চেষ্টা করুন এই তাপমাত্রায় যেন এসি থাকে।
এছাড়া রাতে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। অনেকেই এসির তাপমাত্রা রাতের বেলা ১৬-১৮ তে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এই অভ্যাস কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ ঘুমিয়ে পড়ার পর শরীরের তাপমাত্রা কিন্তু ঠিকমতো নিয়ন্ত্রিত হয় না।
তাই ঠান্ডা বেশি হলে সকালে উঠে সমস্যা হতে পারে। রাতেও এসি চালিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ২২-২৮ এর মধ্যে তাপমাত্রা সেট করুন। সবচেয়ে ভালো হয়, ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে এসি বন্ধ করে দেওয়া।
যাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই, তারা এই গরমে এয়ার কুলার ব্যবহার করতে পারেন। এই যন্ত্রে পানি ঢালতে হয় বলে অনেকেই এয়ার কুলার পছন্দ করেন না। তবে এসির বিকল্প হিসেবে কুলার ব্যবহার করতে পারেন।
জেএমএস/জিকেএস