ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান ও কৌশল ভিন্ন ভিন্ন হলেও আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দল দুটি প্রায় অভিন্ন সংকটে পড়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সফল না হয়ে নীতিনির্ধারকরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। একটি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন কেন্দ্র করে বড় দুটি দলের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার বিষয়টি গোপন নেই।
Advertisement
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার যে প্রবণতা তৃণমূলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে দীর্ঘ মেয়াদে দুটি দলকেই তার রাজনৈতিক মূল্য দিতে হতে পারে। ‘অবাধ্য’ নেতাদের সামলাতে দুই দলই শাস্তি দেওয়ার পথে হাঁটছে। কিন্তু এই পথ দল দুটিতে কতটা স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে, সেটা এখনই বলা কঠিন।
বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের জন্য পরিস্থিতিটা বেশ জটিল বলা যায়। টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থের দ্বন্দ্ব এতটাই প্রকট হয়েছে যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে এর প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। দলের নেতৃত্ব দফায় দফায় নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের, তারা যেন উপজেলা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করেন। কিন্তু দলের নির্দেশ ও শাস্তির হুমকি উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপেই মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের অন্তত ৫০ জনের মতো সন্তান, ভাই, শ্যালকসহ নিকটাত্মীয় প্রার্থী হয়েছেন। সংসদ সদস্যদের অনেকে আবার নিজের পছন্দের নেতাকে প্রার্থী করেছেন।
টানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার আকাঙক্ষা বেড়েছে। সে কারণে মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হতে পরিবারের সদস্যদের ভোটে নামিয়েছেন। এতে দলটির ভেতরে স্বার্থের দ্বন্দ্ব আরও বাড়বে। উপজেলা ভোটেও সংঘাতের আশঙ্কা থাকে।
Advertisement
মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের চেষ্টা পুরোপুরি সফল হয়নি । শুধু নাটোরে একজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। সেখানে আসলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনা বড় বিষয় হিসেবে কাজ করেছে। সেই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে লুৎফুল হাবীবের বিরুদ্ধে, যিনি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। ঘটনাটি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে আওয়ামী লীগকে। ফলে লুৎফুল হাবীব ভোট থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। এছাড়া আর কোনো সংসদ সদস্যের স্বজন ভোট থেকে সরে দাঁড়াননি।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার এ নির্বাচনে ক্ষমতার পরিবর্তনের কোনো বিষয় নেই। রাজনৈতিকভাবেও ভোট হচ্ছে না; আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দেয়নি। এর পেছনে অন্যতম কারণ ছিল দলের তৃণমূলের বিভেদ দূর করা। বিএনপির বর্জনের মুখে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দেখাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার আওয়ামী লীগের কৌশলে তৃণমূলে বিভেদ সৃষ্টি হয়। সেই বিভেদ নিরসনে দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচন না করার কৌশলও ব্যর্থ হতে পারে।
দলের তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে শেষ পর্যন্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য বা কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কতটা কঠোর হতে পারবে দলটি, সেই প্রশ্ন আছে। আর শাস্তি দিলেই তৃণমূলে বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা দূর হবে, সেই নিশ্চয়তাই বা কোথায়?
বর্তমান জাতীয় সংসদেই ১৫টি পরিবারকেন্দ্রিক সংসদ সদস্য রয়েছেন। সেখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের স্বজনকে ঠেকানো আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন। দলটি যে পদক্ষেপই নিক না কেন, দলের তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা বাড়বে বলেই মনে করেন তথ্যাভিজ্ঞ কেউ কেউ।
Advertisement
গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করছে বিএনপি। তবে দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে যারা ভোটের মাঠে নেমেছেন, তাদের ঠেকাতে বিএনপি নেতৃত্বের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। প্রথম দফায় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৫ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। চার দফায় উপজেলা নির্বাচনে এই বহিষ্কারের তালিকা আরও দীর্ঘ হবে।
অন্যদিকে বিএনপির নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত তৃণমূলে অসন্তোষ বাড়িয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ার পর দলটি কীভাবে এগোবে, সেই লক্ষ্য ঠিক করতে পারছে না। দলের লক্ষ্যহীন এ অবস্থা দেখা গেছে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে। প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্তে গিয়ে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। এর মধ্যেই দলটির অনেক নেতা ভোটে নেমে পড়েন।
তৃণমূলের বাস্তবতা আসলে কতটা বিবেচনায় নিয়েছে বিএনপির নেতৃত্ব, সেই আলোচনাও রয়েছে দলটিতে। কারণ, দীর্ঘ আন্দোলনে মামলায় জর্জরিত দলের নেতাকর্মীদের এখন আদালতে যাতায়াত দৈনন্দিন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর মামলা লড়তে অর্থের জোগানের বিষয় তো আছেই। একদিকে মামলার বোঝা, অন্যদিকে আন্দোলনে ব্যর্থতার হতাশা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বড় অংশকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলেছে। কিন্তু জনসমর্থন আছে, মাঠের এমন নেতাদের নিজ নিজ এলাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর বা একটা অবস্থান তৈরির একটা সুযোগ এসেছিল উপজেলা নির্বাচনে।
বিএনপি ২০২১ সাল থেকে স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। স্থানীয় সরকারের কোনো কাঠামোতেই দলগত অবস্থান নেই ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির। তৃণমূলে দলটির সাংগঠনিক দুর্বলতার ক্ষেত্রে এরও একটা প্রভাব রয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পেছনে এই সাংগঠনিক দুর্বলতাকেও একটি কারণ হিসেবে দেখা হয়।
পরিস্থিতিটা দলের নেতাদের কেউ কেউ স্বীকার করেন। তবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলীয় নেতাদের বহিষ্কারের তালিকা দীর্ঘ হলে সেটি তৃণমূলের সংগঠনকে আরও দুর্বল করবে। এমন পর্যালোচনা বিএনপির ভেতরেও আছে। এরপরও কঠোর অবস্থানেই রয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
দলের তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে শেষ পর্যন্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য বা কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কতটা কঠোর হতে পারবে দলটি, সেই প্রশ্ন আছে। আর শাস্তি দিলেই তৃণমূলে বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা দূর হবে, সেই নিশ্চয়তাই বা কোথায়?
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার কথা বললেও প্রথম তিন ধাপে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের অন্তত ৫২ জন স্বজন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পথে।
গত বৃহস্পতিবার তৃতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র জমা শেষ হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপেই মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের ১৮ জন স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। তিন ধাপের নির্বাচনে অন্তত নয়জন সন্তান চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। একজনের বাবা ও একজনের স্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন। ১৩ জন আপন ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। বাকিরা সম্পর্কে চাচা, চাচাতো ভাই, ভাতিজা, শ্যালক ও ভগ্নিপতি।
স্বজনের সংজ্ঞা নিয়েও শুরুতে আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় ধোঁয়াশা ছিল। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিকটাত্মীয় হিসেবে সন্তান ও স্ত্রীকে বোঝানো হয়েছে।
স্বজন বলতে আওয়ামী লীগ এখন যে পরিবারকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা দিয়েছে, তাতেও দেখা যাচ্ছে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের অন্তত নয়জনের সন্তান এবং একজনের স্ত্রী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন। তাদের ব্যাপারেও আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত কতটা কঠোর হতে পারবে, দলটির ভেতরেই সেই আলোচনা রয়েছে।
প্রথম ধাপের ভোট ৮ মে। এই ধাপে মাদারীপুর সদরে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আসিবুর রহমান খান। তার বাবা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য শাজাহান খান। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক চৌধুরী ও বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। হাতিয়ায় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পথে।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ প্রার্থী। রাকিবুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
পাবনার ভাঙ্গুরায় সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে গোলাম হাসনায়েন আছেন ভোটের মাঠে। নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলমও চেয়ারম্যান প্রার্থী।
তৃতীয় ধাপে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আনিসুর রহমান রিয়াদ চেয়ারম্যান প্রার্থী। কুমিল্লার মুরাদনগরে সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে আহসানুল আলম সরকার চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান।
স্বজনদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের আপন ভাইয়েরা এগিয়ে রয়েছেন। পাবনার বেড়া উপজেলায় বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর দুজন আত্মীয় নির্বাচন করছেন। তারা হলেন তার আপন ছোট ভাই মো. আবদুল বাতেন ও আরেক ভাইয়ের ছেলে আবদুল কাদের। আবদুল বাতেন বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এস এম নূর ই আলম নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা নজরুল মজিদ মাহমুদ চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ প্রার্থী হয়েছেন। মাহবুবুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আ হ ম মুস্তফা কামালের ভাই গোলাম সারওয়ার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায়। জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের ভাই নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলামের চাচা সফিকুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আলী আফসার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।
কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফের চাচাতো ভাই। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই হারুন অর রশীদ প্রার্থী হয়েছেন।
মাদারীপুর সদর উপজেলায় সংসদ সদস্য শাজাহান খানের চাচাতো ভাই সাবেক চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী। খাগড়াছড়ির রামগড়ে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কারবারী। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার জামাতা। এ ধরনের স্বজনের প্রার্থী হওয়ার সংখ্যই বেশি।০৬ মে, ২০২৪
লেখক : রাজনীতিবিদ, লেখক ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ।
এইচআর/ফারুক/জিকেএস