জয়ের ব্যবধানকে মানদণ্ড ধরলে বলা যায়, বাংলাদেশ অতি সহজেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি জিতেছে। কিন্তু পারফরম্যান্সের চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে কি তা বলা যাবে? জিম্বাবুয়ের মতো একেবারে তলানিতে পড়ে থাকা দলের বিপক্ষে ১২৫ আর ১৩৯ রান তাড়া করে জিততে শান্তর দলকে যথাক্রমে ১৫.২ ওভার আর ১৮.৩ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে হয়েছে। প্রথম দিন মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জিতে গেলেও পরের ম্যাচে ৪ উইকেট খোয়া গেছে টাইগারদের। বোলারা মোটামুটি উৎড়ে গেছেন। তবে ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে মন ভরেনি কারো। লিটন-শান্তদের ব্যাটিং নিয়ে বেশ চিন্তিত টাইগার সমর্থকরা। সবার মনে একটাই শঙ্কা-জিম্বাবুয়ের এই অতি দুর্বল দলের বিপক্ষে যদি ব্যাটারদের এ অবস্থা হয়, তবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তানের মতো বোলিং আক্রমণ সামনে পড়লে কী হবে?
Advertisement
ভক্তদের মত নিজ দলের ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্ট নন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। বরং বিসিবি প্রধান রীতিমত চিন্তিত। তার অনুভব, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো, টি-টোয়েন্টি খেলতে হলে এখন সাহস করেই খেলতে হবে। এখন আর রান হলো কি হলো না, ফর্ম আছে কি নাই; এসব চিন্তা করে লাভ নেই। এখন খেলতে হবে হাত খুলে। হাত খুলে না খেললে বড় রান করাটা কঠিন।’
পাপন যোগ করেন, ‘ব্যাটিংটা ভালো লাগে নাই। ব্যাটিং দেখে খুবই ভয় লাগছে। এইগুলো এখন কথা বলার বিষয়। দুটো ম্যাচ দেখেছি বোলিং কিন্তু ভালো করেছে। সাইফউদ্দিন এতদিন পর এসে যেভাবে বল করেছে, শেখ মেহেদী যেভাবে বল করেছে, তাসকিন তো এক্কেবারে মনে হচ্ছে বিধ্বংসী মনে। আমাদের মোস্তাফিজ আইপিএলে খুব ভালো খেলে এসেছে।’
আইপিএলের সঙ্গে টিম বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্সের তুলনা করে খানিক আক্ষেপের সুরে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এবারের আইপিএল দেখে বুঝতে পারছি না হচ্ছেটা কী। মানে ২৫০-২৬০ করার করলেও জিততে পারে না। আর আমরা ১৪০-১৪৫ করতেই হিমশিম খাচ্ছি বলে মনে হয়। আসলে হিমশিম খায় নাই। কিন্তু মনে হয়, কেমন জানি একটা বিরাট পার্থক্য। এই পার্থক্যটা কিন্তু গতবারও মনে হয়নি।’
Advertisement
‘চ্যালেঞ্জেটা তাদের (ক্রিকেটারদের)। লিটন দাস তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরে আসুক এটাই চাই আমরা। শুধু লিটন না, সবাই তাদের সেরা পারফরম্যান্সে থাকুক, সেরা খেলাটা খেলুক।’
এআরবি/এমএমআর