তিনি কথা রেখেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজের শেষ ২ ম্যাচের আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের একাধিক ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। নিজ ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডির হয়ে একটি-দুটি নয়, তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের মানদন্ডে সাকিব খারাপ করেননি। তবে তার দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের আলোকে দেখলে, সাকিবের সুপার লিগ খেলার কোনই ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি দলে। সাকিব আবাহনী, গাজী গ্রুপ আর প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে যে ৩ ম্যাচ খেলেছেন, তার সবকটাতেই হেরেছে শেখ জামাল।
Advertisement
তবে সাকিব ব্যাট হাতে প্রথম ২ খেলায় রান পেয়েছেন। প্রথম দিন আবাহনীর সঙ্গে ৪৯ রানের আর পরের ম্যাচে গাজী গ্রুপে বিপক্ষে ৭৯ বলে ১০৭ রানের ঝোড়ো সেঞ্চুরি ইনিংস উপহার দিয়েছেন।
কিন্তু আজ সোমবার এবার প্রিমিয়ার সুপার লিগে নিজের শেষ দিনটি মোটেই ভালো কাটেনি সাকিবের। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সাকিবের দিন শুরু হয় এক অটোগ্রাফ শিকারিকে গলা ধাক্কা দেওয়ার মধ্য দিয়ে। পরে বল হাতে ৪২ রানে ২ উইকেট পেলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার। ফিরে গেছেন শূন্য রানে, তাও প্রথম বলে। সোমবার ফতুল্লায় দুই প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার জাকির হাসান (৯৫ বলে ৮৫) আর মুশফিকুর রহিমের (৯৪ বলে ৭৮) জোড়া ফিফটিতে ভর করে ২৭০ রানের সংগ্রহ গড়ে প্রাইম ব্যাংক। জবাবে পেসার রেজাউর রহমান রাজার রেকর্ডগড়া বোলিংয়ে (৮/২৩) মাত্র ৭১ রানেই গুটিয়ে যায় সাকিবের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শেষ ম্যাচে ১৯৯ রানের বিশাল জয়ে তৃতীয় স্থান পেলো তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের প্রাইম ব্যাংক। অন্যদিকে সাকিব-সোহানের শেখ জামাল, তানজিদ তামিম ও রিশাদের শাইনপুকুর আর হাবিবুর রহমান সোহান ও আনিসুল ইসলাম ইমনের গাজী গ্রুপ সুপার লিগে এসে সমান একটি করে ম্যাচ জিতেছে।
এআরবি/এমএমআর/এমএস
Advertisement