ঢাকার বাজারে গত বৃহস্পতিবার প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১২০ টাকা। চারদিনের ব্যবধানে ডজনে ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। প্রতিটি ডিমের খুচরা দাম পড়ছে ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা।
Advertisement
সোমবার (৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও দেশের কয়েকটি ডিম উৎপাদন এলাকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ডিমের উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন আগেও প্রচণ্ড গরমের কারণে ডিম সংরক্ষণ করেননি খামারিরা, যা ওই সময় বাজারে বাড়তি সরবরাহ সৃষ্টি করেছিল। তখন দাম কম ছিল। এখন ভারী বৃষ্টির কারণে বাজারে ডিমের সরবরাহ হুট করে কমে গেছে।
ঢাকায় ডিমের বড় দুটি পাইকারি বাজার আছে। এর একটি কারওয়ান বাজারসংলগ্ন তেজগাঁও রেলস্টেশন পাইকারি ডিমের বাজার। অন্যটি পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজার।
Advertisement
এই দুই বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার পাইকারিতে ১০০ বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০ থেকে ১ হাজার ৩০ টাকায়। সাদা রঙের ১০০ ডিম পাইকারিতে ৯৬০ থেকে ৯৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন
হিট স্ট্রোকে মরছে মুরগি, কমছে ডিম উৎপাদন গরমে মরছে মুরগি, আগস্টে ‘মারাত্মক’ দাম বাড়ার শঙ্কাযদিও প্রান্তিক খামারিরা ডিমের দাম কমা-বাড়া নিয়ে তেজগাঁও আড়তমালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, কিছুদিন আগে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমিয়ে দেন আড়তমালিকরা। যে সময় সারাদেশে ডিম হিমাগারে মজুত হয়েছে। এখন দাম বাড়িয়ে তারা মুনাফা করছেন।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, সারাদেশে তারা (তেজগাঁও আড়তমালিকরা) ডিমের দাম নির্ধারণ করে। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে মুনাফা করে।
Advertisement
তিনি বলেন, ওই আড়তে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ ডিম বিক্রি হলেও তারা সারাদেশে চার কোটি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন তারা বাজারদর জানিয়ে দেয় সারাদেশের আরও বিক্রেতা এবং খামারিদের। তারা এখন ডিমের বাজারে সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট।
সুমন হাওলাদার জাগো নিউজকে কিছু বার্তা ও ডিম বিক্রির মেমো সরবরাহ করেন। এতে দেখা গেছে, গত ২ মে ডিমের দাম প্রতি ১০০ পিসে ১০ টাকা, ৩ মে ৩০ টাকা, ৪ মে ৫০ টাকা ও ৫ মে ৬০ টাকা বাড়িয়ে বার্তা দিয়েছেন আড়তের ব্যবসায়ীরা।
এনএইচ/এমআইএইচএস/এমএস