১৯ বছর পর উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Advertisement
সোমবার (৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এই চুক্তির আওতায় উজেবেকিস্তানের সঙ্গে এখন সরাসরি বিমান চলাচল কার্যক্রম শুরু হবে। ১৯৯৩ সালে একটি চুক্তির মাধ্যমে এই জার্নি শুরু হয়েছিল। ২০০৫ সালে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন নতুনভাবে শুরু করার জন্য উজবেকিস্তানের পক্ষ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। দুই পক্ষ মিলে এই খসড়া করেছে। চুক্তির আওতায় ফিফথ ফ্রিডম পাবো। ফিফথ ফ্রিডম হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে বিমান নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে যাত্রী তোলা যাবে।
এছাড়া বৈঠকে প্রত্নসম্পদ আইন, ২০২৪ এর খসড়ার উপস্থাপিত হওয়ার পর কয়েকটি জায়গায় পরিমার্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপর পুনরায় মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৮৬ সালের একটি আইনকে পরিবর্তন করে বাংলায় করা হচ্ছে। বাংলাদেশের দেশে যত প্রত্নসম্পদ আছে সেগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা, সংরক্ষণ করা, সেগুলোর হস্তান্তর ও নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়গুলো সেখানে আছে। নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তির বিষয়ও আছে।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমি আইন, ২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আগের আইনকে পরিবর্তন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন এই আইন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভায় আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন করা হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস ছিল। এটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু আলোচনার পর মন্ত্রণালয় এটি প্রত্যাহর করে নিয়েছে।
সুন্দরবনে আগুন লাগার বিষয়ে মন্ত্রিসভা সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্বশেষ পরিস্থিতি মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে, শতভাগ নিভে গেছে এমন না, কন্ট্রোল করা গেছে, কর্ডোন করা গেছে। আগামী কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। বনের আগুন কিন্তু স্বাভাবিক আগুন নয়, মনে হয় নিভে গেছে কিন্তু কোনো একটা লতা দিয়ে আগুন অনেক দূর পর্যন্ত চলে যায়, পরে আবার জেগে ওঠে।
Advertisement
তিনি বলেন, বনের আগুন নেভানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না। এজন্য তারা এখন আগামী কয়েকদিন গভীর পর্যবেক্ষণে রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী অবহিত হওয়ার পর কার্যক্রমের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ জন কর্মী ফুল টাইম কাজ করেছেন। দেড়শর বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূর থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি আরও বলেন, গভীর জঙ্গলে রাতে কাজ করা যায়নি। দিনে কাজ করতে হয়েছে। ঝুঁকিও ছিল। সবগুলো মিলিয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং টাস্ক তারা কমপ্লিট করেছেন, এজন্য তারা (ফায়ার সার্ভিস) ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
আরএমএম/এমআইএইচএস/এমএস