গরমে অতীষ্ট জনজীবন। এ সময় শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। কারণ এমনিতেই গরমে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়। তার উপর গরমে খাবার খেতেও তেমন ইচ্ছে করে না।
Advertisement
এই অবস্থায় শরীরে পুষ্টির অভাব হতে পারে। আবার পুষ্টির অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় ও নানা রোগর ঝুাঁক বাড়ে। গরমে শরীরে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদানের অভাব ঘটে।
এই তালিকায় একদিকে যেমন আছে বেশ কয়েকটি ভিটামিন, তেমনই অন্যদিকে আছে কিছু খনিজ পদার্থ। কী কী সেগুলো? আর কোন কোন খাবারে মিলবে সেগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভিটামিন সি
Advertisement
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে ভিটামিন সি’র। গরমে শরীর কাহিল হওয়ার পর নানা রোগ হতে পারে।
সেসব রোগ মোকাবিলা করে ভিটামিন সি। যে কোনো সাইট্রাস ফল এর সমৃদ্ধ উৎস। যেমন নানা ধরনের লেবু, ব্রোকলি, পেঁপে, স্ট্রবেরি, টমেটো, আলু ইত্যাদি।
পটাশিয়াম
পটাশিয়াম শরীরের একটি জরুরি ইলেক্ট্রোলাইট। এটি একদিকে যেমন জলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে হার্টের স্বাস্থ্যও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই পটাশিয়াম এই সময় না হলেই নয়।
Advertisement
আরও পড়ুন
পেট ভরে খাওয়ার ভুলে হতে পারে যেসব রোগ গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ভাত নাকি রুটি খাবেন?কলা পটাশিয়ামে ভরপুর। তবে এটি ছাড়াও পাতে রাখা যেতে পারে খেজুর, কিসমিসের মতো শুকনো ফল, অ্যাভোকাডো, ব্রোকলি, ডাল, বিনসজাতীয় খাবার।
প্রোটিন
প্রোটিন শরীরের নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। তাই এটি না থাকলে শরীর দুর্বল হবেই। এটি কোষের পাশাপাশি পেশি, হাড় ও হরমোনের মূল উপাদান।
প্রোটিনের সেরা উৎস মাছ, মাংস, ডিম, বিনস ও ডালজাতীয় খাবার। তবে গরমে প্রাণীজ প্রোটিন খেলে শরীর গরম হতে পারে। বাড়তে পারে অস্বস্তি। তাই পাতে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যেমন ডালজাতীয় খাবার রাখতে পারেন।
জিঙ্ক
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় জিঙ্ক। এছাড়া ডিএনএ গঠনে লাগে, ক্ষত সারায়, সংক্রমণ আটকায়। তাই জিঙ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীর না পেলে রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কুমড়ার বীজসহ বিভিন্ন বীজে জিঙ্ক বেশি থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বাদাম, দই, শস্যে ভরপুর জিঙ্ক থাকে।
সূত্র: এবিপি নিউজ/হিন্দুস্তান টাইমস
জেএমএস/এএসএম