দেশজুড়ে

হবিগঞ্জে কালবৈশাখী-শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি

হবিগঞ্জে বেশ কিছুদিন ধরে টানা তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এরমধ্যে দু-একদিন ছিটেফোঁটা পড়েছে তবে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। অবশেষে বৃষ্টি নেমেছে। এতে তীব্র গরমে স্বস্তি এলেও কালবৈশাখীর সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

রোববার (৫ মে) দুপুরের পর হবিগঞ্জ পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়। প্রায় আধাঘণ্টা স্থায়ী শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

পৌর এলাকার পুরান মুন্সেফি এলাকার বাসিন্দা সুমন চৌধুরী বলেন, ‘তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হয়েছে ভালো লেগেছে। কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে আমার কয়েকটি ঘর, দোকানের টিনের চালা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিন ছিদ্র হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।’

শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন মনি বলেন, ‘শিলাবৃষ্টিতে গরম কমলেও আমাদের ও আশপাশের বাসার টিনের চালা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বছরের মধ্যে এত বড় শীলা আমি দেখিনি। এটি নজিরবিহীন।’

Advertisement

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, শীলাবৃষ্টি হাওর এলাকায় হয়নি। তাই বোরো ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। এরইমধ্যে জেলার ৭৫ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, মৌসুমি ফলের যে বিষয়টি তা আসলে ক্ষতি বলা যাবে না। কাঁচা আম যেগুলো ঝরে পড়েছে সেগুলো নষ্ট হবে না। এগুলো দিয়ে আচার বানানো যাবে।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসআর/জিকেএস

Advertisement