দেশজুড়ে

টেকনাফে পালিয়ে আসা বিজিপির আরও ৮৮ সদস্য আটক

কক্সবাজারের টেকনাফে পালিয়ে এসেছেন মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিপির) আরও ৮৮ সদস্য। রোববার (৫ মে) ভোরে তিনটি কাঠের ট্রলারযোগে নাফনদী পেরিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশের সময় কোস্টগার্ড তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এর আগে শনিবারও ৪০ বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

Advertisement

কোস্টগার্ডের একটি সূত্র জানিয়েছেন, পালিয়ে আসা মিয়ানমার বিজিপির সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কথা বলেননি বিজিবির কোনো কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন বিজিবি।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির বলেন, শনিবারের মতো আজও (রোববার) মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে সেটা সংখ্যায় কতজন তা এখনও জানা যায়নি।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভোরে টেকনাফের নাফনদী পার হয়ে মিয়ানমার থেকে কাঠের ট্রলারযোগে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপির) অন্তত ৮৮ জন সদস্য পালিয়ে এসেছেন। এ সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের হেফাজতে নেয়।

Advertisement

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছি রোববারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপির) ৮০-৯০ জন সদস্য পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বিষয়টি কোস্টগার্ড ও বিজিবি দেখছে।

এর আগে মিয়ানমারের রাখাইনের সংঘাত থেকে দুই দফায় পালিয়ে আসা দেশটির বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৬১৮ সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়। এরমধ্যে গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন বিজিপি-সেনা এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তা ছিল।

সায়ীদ আলমগীর/আরএইচ/জিকেএস

Advertisement