কোষ্ঠকাঠিন্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এই তাপপ্রবাহে ডায়রিয়ার সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই অনেকের আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়েছে। যারা এরই মধ্যেই এ সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এই গরম।
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস, রাতে দেরিতে ঘুমাতে যাওয়ার কারণে মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়। ফলে গ্যাস-অ্যাসিডিটি, পেট ব্যথা থেকে শুরু করে একাধিক সমস্যাও বাড়তে পারে।
সাধারণত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপো থাইরয়েড রোগীদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই গরমের কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অন্যান্য সমস্যা এড়াতে আপনার জীবনযাত্রা ও খাবারে আনতে হবে পরিবর্তন।
এই সমস্যা কাটাতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যারা এই গরমের দিনেও বাইরে বেরিয়ে কাজ করছেন, তাদের উচিত ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার ও বেশি বেশি পানি ও ফলের রস পান করা।
Advertisement
আরও পড়ুন
গরমে মাথা ঘোরা ও অজ্ঞান হওয়ার কারণ কী হতে পারে? বরফ পানি দিয়ে গোসল কি শরীরের জন্য ভালো?বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে ফাইবারের পরিমাণ কমে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শাকসবজি ও ফল খান। কারণ এগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার আছে।
এই উপাদান হজমের সমস্যা কমায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। তাই প্রতিদিন প্রায় ৩৮ গ্রাম ফাইবারযুক্ত খাবার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলেই এই সমস্যা সহজেই এড়ানো সম্ভব।
আটার রুটি বেছে নিন
Advertisement
ভাতে তেমন একটা ফাইবার থাকে না। তাই গরমে বেশি বেশি ভাত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এই কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা রোগীদের প্রতিদিন আটার রুটি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আর যারা রুটি খেতে পারেন না, তারা ওটস খেতে পারেন।
টকদই খান
আমরা সবাই জানি, দই প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভাণ্ডার। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খুবই উপকারী। তাই এই গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে নিয়মিত বাড়িতে বানানো লো ফ্যাট মিল্কের টকদই খেতে পারেন। তাতেই মিলবে উপকার।
ব্যায়াম করুন
প্রচণ্ড গরমের কারণে বেশিরভাগ মানুষই ব্যায়াম করা এড়িয়ে যান। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে সকালবেলায় রোদ ওঠার আগে বা সন্ধ্যার পর আবহাওয়া একটু ঠান্ডা হওয়ার পর নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। তবে যদি ব্যায়ামে আগ্রহ না থাকে তাহলে ৩০ মিনিট হাঁটুন। এতেও উপকার পাবেন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/এমএস