দেশজুড়ে

দুই মাস পর জানা গেলো তিনি ভুয়া চিকিৎসক

সাধন কুমার মণ্ডল (২৮)। তিনি একজন এমবিবিএস (মেডিসিন) সিএমইউ (আল্ট্রা) বিএমডিসি ও মেডিসিন, মা ও শিশু, চর্ম, যৌন রোগে অভিজ্ঞ ডাক্তার। বিএমডিসির-এ ১১৩০৯৯ নং রেজিস্ট্রেশন নম্বর তার। দুই মাস ধরে সাধন কুমার মণ্ডল নেত্রকোনার মদন উপজেলার স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখছেন।

Advertisement

কাগজপত্রে সব ঠিকঠাক থাকলেও বাস্তবে এর ভিন্ন চিত্র। বিএমডিসির-এ ১১৩০৯৯ নং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ডাক্তার সাধন কুমার বর্তমানে খুলনা একটি হাসপাতালে চাকরি করছেন। আর সাধন কুমার মণ্ডলের পরিচয় ব্যবহার করে নেত্রকোনার মদনে নিয়মিত রোগী দেখছেন শংকর দাস নামের এক ভুয়া চিকিৎসক। শনিবার অভিযান চালিয়ে ভুয়া চিকিৎসক শংকর দাসকে আটক করেছে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া। বর্তমানে ভুয়া ওই চিকিৎসক শংকর দাসকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

অভিযুক্ত ভুয়া চিকিৎসক শংকর দাসের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলায়। তার বাবার নাম সুমেশ দাস। তিনি একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, দুই মাস আগে স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মদন আসেন শংকর দাস। তখন তিনি ডাক্তার সাধন কুমার মণ্ডলের পরিচয় দেন। পরে তিনি স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখা শুরু করেন। এ পর্যন্ত তিনি ৩৩৫ জন রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে প্রকৃত ডাক্তার সাধন কুমার মণ্ডল বিষয়টি মদন উপজেলা প্রশাসনকে জানান।

Advertisement

প্রতারক শংকর দাস জানান, আমি মেডিকেল কলেজের ছাত্র। আমার টাকার সমস্যা ছিল তাই ভুয়া পদবি ও ঠিকানা ব্যবহার করে এমন কাজ করেছি

স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক আব্দুল কাইয়ুম জানান, ডাক্তার সাধন কুমার মণ্ডলের পরিচয় দিয়ে আমার ওখানে তিনি রোগী দেখেছেন। আজ জানতে পারলাম তিনি একজন ভুয়া ডাক্তার এবং প্রতারক। আমরা তার প্রতারণার স্বীকার হয়েছি।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার তায়েব হোসেন জানান, আটক ব্যক্তি কোনো চিকিৎসক নন। তিনি মূলত একজন প্রতারক। তার কথায় বিষয়টি প্রমাণিত।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, ডাক্তার সাধন কুমার মণ্ডল চট্টগ্রাম থেকে মদনের উদ্দেশে রওনা করেছেন। প্রতারক শংকর দাসকে আটক করা হয়েছে। প্রকৃত ডাক্তার সাধন কুমার মণ্ডলের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শংকর দাস তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

এইচ এম কামাল/আরএইচ/জেআইএম