বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের সন্দেহভাজন ১২ ও শ্রীলঙ্কার ৮ নাগরিক জড়িত বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা সনাক্ত করেছেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশি এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক ডেইলি মিরর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য না দিলেও ওই কর্মকর্তা বলেন, সন্দেহভাজনদের মধ্যে কয়েকজন চুরি যাওয়া রিজার্ভের লেনদেনে জড়িত থাকলেও তারা হ্যাকার নন। গত ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিস্টেমে ঢুকে হ্যাকাররা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কের অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার অর্থ সরিয়ে নেয় হ্যাকাররা। লেনদেনে অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ায় অধিকাংশ পেমেন্ট আটকে দেয় নিউ ইয়র্ক ফেডারেল। এছাড়া শ্রীলঙ্কায় একটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় আরো ২ কোটি ডলার। তবে ওই কোম্পানির নামের বানানে গড়মিল পাওয়া যায় বাকি পেমেন্টও আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম ডেইলি মিররকে বলেন, সাইবার চুরির ইতিহাসে বড় এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বিদেশিদের সনাক্তে ইন্টারপোল সহযোগিতা করেছে। তিনি বলেন, আমরা কমপক্ষে ২০ বিদেশির পুরো নাম ও পরিচয় সনাক্ত করেছি, তারা জড়িত ছিল বলে আমরা বিশ্বাস করি। সিআইডির আরেক কর্মকর্তা বলেন, তদন্তের ফলাফল ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়ায় ওই বিদেশি সন্দেহভাজনদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করেন এই দুই কর্মকর্তা।বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে ফিলিপাইনের সিনেট কমিটিতে এখনো শুনানি চলছে। এতে দেশটির দুটি ক্যাসিনো ও একজন জাঙ্কেট অপারেটর জড়িত। এদিকে, সাইবার চুরির এ ঘটনা নিয়ে শ্রীলঙ্কা পুলিশের অপরাধ বিভাগও তদন্ত করছে, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো দেয়নি দেশটি।এসআইএস/এবিএস
Advertisement