টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একটি কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছেন।
Advertisement
শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মাটিকাটা, চিতুলিয়াপাড়া, গোবিন্দাসী ও নিকলা নয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-উপজেলার কাগমারী পাড়ার মিজানুর রহমানের শিশু ছেলে তৌফিক, গোলাবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আলিফা, নিকলা নয়াপাড়ার আজহারের ছেলে আম্বিয়া, নূরুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন, গোবিন্দাসী গ্রামের রফিকের শিশু ছেলে শামিউল, মহিউদ্দিনের ছেলে সুজন মন্ডল, চিতুলিয়াপাড়ার গ্রামের মোখলেছ মিয়ার শিশু মেয়ে মনিজা খাতুন, নাজমুল হুদার শিশু ছেলে সাফওয়াল ইসলাম, শাহজাহানের স্ত্রী হোসনে আরা, ভালকুটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের শিশু ছেলে বায়েজিদ ইসলাম। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, নিকরাইল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন।
Advertisement
কুকুরের আক্রমণের শিকার সুজন মণ্ডল বলেন, সকালে বাড়ির পাশে চড়ানো আমার ছাগলকে আক্রমণ করে অনবরত কামড়াতে কুকুরটি। আমি এগিয়ে যাওয়ায় কুকুরটি আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং আমাকে কামড়াতে থাকে। কুকুরটি মানুষ ও পশু দেখলেই ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করছে।
এদিকে আহতরা জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে রোগীদের ভ্যাকসিন কিনে আনতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালে কিছুদিন আগেও কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিন সরবরাহ ছিল। ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ায় রোগীদের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। আশা করছি দ্রুত ভ্যাকসিন পাবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজনের উপর আক্রমণ করা ওই কুকুরটিকে দ্রুত ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে শুনেছি গোবিন্দাসী খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়রা কুকুরটি মেরে ফেলেছে।
Advertisement
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকার ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দ্রুত সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
আরিফ উর রহমান টগর/এনআইবি/জেআইএম