আইপিএলে বেদম মার খেয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের হাতে। একটা সময় তো এমনও বলা হচ্ছিলো, কেকেআর শুধু শুধু প্রায় ২৫ কোটি (২৪.৭৫) রুপি দিয়ে বিশ্বসেরা এই পেসারকে দলে নিলো! তাকে দিয়ে তো কোনো লাভই হচ্ছে না।
Advertisement
প্রথম ৮ ম্যাচ থেকে মাত্র ৭ উইকেট পেয়েছেন তিনি। রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ১১.৭৮ করে। এর মধ্যে তিনবারই ৫০ এর বেশি রান দিয়েছেন তিনি। এমন খরুচে বোলারকে নিয়ে তো সমালোচনা হওয়ারই কথা।
তবে তুমুল সমালোচনার মুখে যেন ঘুরে দাঁড়ালেন মিচেল স্টার্ক। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে মাত্র ১৬৯ রান করেও ২৪ রানে কেকেআরের জয়ে মূল অবদানটাই ছিল স্টার্কের। ৩.৫ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নিলেন ৪ উইকেট। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ের মুখে ১৪৫ রানেই গুটিয়ে যায় মুম্বাইয়ের ব্যাটিং।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার জয়ের পর মিডিয়ারও মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই জানালেন, কেন আইপিএলে ব্যর্থ হচ্ছে বোলাররা। তার মতে, এর পেছনে মূল কারণটা হচ্ছে- ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম। এই নিয়মের কারণেই এবারের আইপিএলে এত বেশি রান উঠতেছে।
Advertisement
মিচেল স্টার্ক মনে করেন, আইপিএলে এতবেশি রান উঠলেও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এত রান উঠবে না। সেখানে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের কোনো নিয়ম নেই। সুতরাং, এত রান ওঠারও কোনো সুযোগ নেই।
এ বারের আইপিএলে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ২৫০’র বেশি রান উঠেছে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই ২০০’র কাছাকাছি রান উঠছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেটা হবে না বলেই মত স্টার্কের।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নেই। তাই ওখানে এত রান উঠবে কি না সেটা দেখতে হবে।’ একটু থেমে স্টার্ক বলেন, ‘আমার মনে হয় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম না থাকার প্রভাব পড়বে। প্রথম একাদশে বাইরে থেকে একজনকে যখন আনা যাবে না, তখন দলের ভারসাম্য বদলে যাবে। অলরাউন্ডারদের প্রয়োজন বাড়বে। অধিনায়কদের তখন ১১ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে খেলতে হবে। সেই অনুযায়ী ভাবনাচিন্তা করতে হবে। আইপিএলে এই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম কিন্তু বেশ উপভোগ্য।’
শুক্রবার দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ায় কেকেআর মনিশ পাণ্ডেকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামিয়ে দেয়। সেই সিদ্ধান্ত কাজে লেগে যায়। মনিশের ব্যাটে ভর করে ১৬৯ রান তোলে কলকাতা। স্টার্ক বলেন, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের ফলে একটা বদল তো অবশ্যই এসেছে। প্রত্যেক দলে বাড়তি ব্যাটার থাকছে। ব্যাটিং গভীরতা বাড়ছে। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এই নিয়মের সুবিধা এবারের আসরে বেশ ভালভাবে দেখা যাচ্ছে। পাওয়ার প্লে-তে ব্যাট করার সময় ব্যাটাররা কোনও ভয় পাচ্ছে না। কারণ তারা জানে দলের ব্যাটিং গভীরতা রয়েছে।’
Advertisement
আইএইচএস/