বিভিন্ন জাতের হাঁস-মুরগি আমাদের দেশে ব্যাপক প্রচলিত খাবার। হাঁস-মুরগি কিনে আমরা সাধারণত দোকানেই সেগুলোকে বিক্রেতাদের দিয়ে জবাই ও ড্রেসিং করাই।
Advertisement
বর্তমানে আমাদের দেশের দোকানগুলোতে সাধারণত অল্প কিছুক্ষণ গরম পানিতে চুবিয়ে তারপর মেশিনে চামড়া থেকে পালক ছাড়ানোর জন্য দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে মুরগি ড্রেসিং করা হলে তাতে ওই মুরগির গোশত খাওয়া নাজায়েজ বা মাকরুহ হবে না। কারণ এ পদ্ধতিতে মুরগি গরম পানিতে যতটুকু সময় চুবিয়ে রাখা হয়, ততটুকু সময়ে হাঁস-মুরগির পালকসমূহের গোড়া কিছুটা নরম হয়, মুরগির ভেতরের নাপাকির প্রভাব গোশতে পৌঁছে না।
যদিও ড্রেসিং করার আগে মুরগির নাড়িভুড়ি বের করে ফেলা সবচেয়ে নিরাপদ, তাহলে গোশতে নাপাকি পৌঁছার সম্ভাবনা থাকে না।
এ পদ্ধতিতে ড্রেসিংয়ের সময় হাঁস-মুরগি নাপাক পানিতে চোবানো হলে রান্না করার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিলে পবিত্র হয়ে যাবে। নাপাক পানিতে চোবানোর কারণে ওই হাঁস বা মুরগি খাওয়া নাজায়েজ হবে না।
Advertisement
তবে যদি ড্রেসিংয়ের সময় হাঁস-মুরগি এত বেশি সময় উত্তপ্ত পানিতে চুবিয়ে রাখা হয় যে হাস-মুরগির ভেতরের নাপাকীর প্রভাব ও গন্ধ গোশতের ভেতরে চলে যায়, তাহলে ওই হাস-মুরগির গোশত খাওয়া নাজায়েয হয়ে যাবে।
ওএফএফ/জিকেএস