খেলাধুলা

মোসাদ্দেকের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি, মোহামেডানের সামনে রানপাহাড় আবাহনীর

লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন ধ্রুব, জাকের আলী অনিকের মতো প্রতিষ্ঠিত ও পরীক্ষিত ব্যাটাররা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে টিম বাংলাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামে। এছাড়া ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ও ইনজুরি হয়ে একাদশের বাইরে আছেন। তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন আর তানভীর ইসলামের মত ফ্রন্টলাইন বোলাররাও সবাই জাতীয় দলের বহরে।

Advertisement

১১ জন ফ্রন্টলাইন খেলোয়াড় ছাড়া আজ শুক্রবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মর্যাদার লড়াইয়ে এক দুর্বল ও কমজোরি দল নিয়ে মাঠে নেমেছে আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু তাতেও কমেনি চ্যাম্পিয়নদের দাপট।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে শুরুতে খানিক চাপে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ৩০৩ রানের স্কোর গড়েছে আকাশি-হলুদরা।

অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীকে বড়সড় পুঁজি গড়ে দিতে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা।

Advertisement

মোসাদ্দেকের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে লন্ডভন্ড মোহামেডান বোলিং ও ফিল্ডিং। ডানহাতি এই ব্যাটারের উইলো থেকে বেরিয়ে এসেছে ১৩৩ রানের বিশাল ইনিংস। ১০১ বলে গড়া এ ইনিংসে আবাহনী অধিনায়ক চার-ছক্কার নহর বইয়ে দিয়েছেন। ১০ বিশাল ছক্কা ও ৮ বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল মোসাদ্দেকের এই ঝোড়ো ইনিংস।

নাইম শেখ (৬), এনামুল হক বিজয় (১৬) কিছু করতে পারেননি। অপর ওপেনার সাব্বির হোসেন উপহার দিয়েছেন ৯১ রানের (৭৮ বলে ৬ ছক্কা ও ৭ বাউন্ডারি) দারুণ ইনিংস।

আর কেউ ২০’র ঘরে পা রাখতে না পারলেও মোসাদ্দেক ও সাব্বিরের লম্বা ইনিংসের ওপর ভর করেই ৩০০ রানের ঘরে পৌঁছে যায় আবাহনী। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৪ ওভারে ৩০৩ থামে তারা।

বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি (৮.৪ ওভারে ৩/৪০) আর অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ (৮ ওভারে ৩/৫২) ছাড়া মোহামেডানের বাকি বোলারদের কেউ সুবিধা করতে পারেননি। সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তার ১০ ওভারে ৭৪ রান তুলে নেন আবাহনী ব্যাটাররা।

Advertisement

আবাহনী লিমিটেড: ৪৪.৪ ওভারে ৩০৩ রান (নাইম শেখ ৬, সাব্বির হোসেন ৯১, এনামুল হক বিজয় ১৬, মোসাদ্দেক হোসেন ১৩৩, নাহিদুল ইসলাম ১৬, মোসাব্বের ১৯; আবু হায়দার রনি ৩/৪০, নাইম হাসান ১/৩০, নাসুম ১/৭৪, মিরাজ ৩/৫২, রুয়েল মিয়া ১/৩১)।

এআরবি/এমএইচ/জিকেএস