পতন কেটে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২ মে) দেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই সূচক বাড়লো।
Advertisement
এ দিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও ৯টি প্রতিষ্ঠান বড় দাপট দেখিয়েছে। লেনদেনের বেশিরভাগ সময় এ ৯ প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য পড়ে থাকে। অন্যদিকে দিনের সর্বোচ্চ দামে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার বিপুল পরিমাণে ক্রয়ের আদেশ আসে।
এ নয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের, অ্যাপেক্স টেনারি, ফর কেমিক্যাল, জিপিএসই ইস্পাত, অ্যাকটিভ ফাইন, ফারইস্ট নিটিং, গোল্ডেন জুবেলি মিউচুয়াল ফান্ড, অলটেক্স এবং সোনালী আাঁশ।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
Advertisement
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের পুরো সময়জুড়ে অব্যাহত থাকে। এমনকি লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও বাড়ে। ফলে সূচকের মোটামুটি বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪০টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
Advertisement
এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমলেও ৭০০ কোটি টাকা ছাড়ি গেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৩৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১২৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মালেক স্পিনিংয়ের ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-আইটি কনসালটেন্ট, ওরিয়ন ইনফিউশন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ফার্মা, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, শাহিনপুকুর সিরামিক এবং বেস্ট হোল্ডিং।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২২২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৪টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
এমএএস/এমআইএইচএস/জিকেএস