বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় মেধার উচ্চতর বিকাশের সূতিকাগার। এখান থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখেন শিক্ষার্থীরা৷ দেশের জন্য কুড়িয়ে আনেন সুনাম। দেশকে তুলে ধরেন বিশ্বমঞ্চে। বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে মিলে গবেষণার কাজ করেন। যে গবেষণাগুলো একসময় দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখে।
Advertisement
অন্যভাবে বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতির বিবেকও বলা চলে৷ দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সবার আগে রাস্তায় নামেন। বিভিন্ন সময় অন্যায় আর অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তারা। অথচ মানুষ গড়ার কারিগর সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই কি না চলছে শিশুশ্রম৷ যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় মানবিক কারণে সেখানে শিশুদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া ও দোকানগুলোতে শিশুরা কাজ করছে৷ একেবারেই সামান্য বেতনে কাজ করা এই শিশুদের পরিবারেরও রয়েছে নানা ট্র্যাজেডি৷ পরিবারের হাল ধরতে অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা নামছে শিশুশ্রমে।
আমার বাবা নাই। দেশের বাড়িতে মা ও ভাই আছে। অভাবের সংসারে মা ভরণপোষণের খরচ দিতে পারে না। তাই এখানে কাজ করি। আর কোনো উপায় নাই৷ আমার পড়ালেখা করার খুব ইচ্ছে ছিল৷ কিন্তু পড়ার খরচ দিবো কে
Advertisement
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া ও দোকানে কাজ করা শিশুরা জাগো নিউজকে জানিয়েছে, পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা, অনেকের অভিভাবক না থাকা আর সামাজিক নিপীড়নের শিকার হয়ে তারা কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছে৷ অথচ তাদের সবার একই স্বপ্ন ছিল, পড়ালেখা করে শিক্ষিত হওয়া। জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যান্টিন মালিকরা বলছেন, ক্যাম্পাসের হলগুলোতে খাবারের দাম কম রাখা হয়৷ একজন পূর্ণ বয়স্ক শ্রমিককে দিয়ে কাজ করাতে যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দিতে হয় একই পরিমাণ পারিশ্রমিক দিয়ে দু-তিনজন শিশু শ্রমিককে কাজে লাগানো যায়৷ এতে অর্থ যেমন সাশ্রয় হয়, খাবারের দামও কম রাখা সম্ভব হয়৷
আরও পড়ুনদেশে ৪৩ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে কাজ করছে ১০ লাখ শিশুতারা বলছেন, ক্যান্টিন বা হোটেল পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো নির্দেশনা না থাকায় অনেক শিশুই এখানে কাজ করে৷ এতে তাদের পারিবারিক অভাব কিছুটা হলেও কাটে। এই শিশুদের শ্রম তাদের পরিবারকেই উপকৃত করে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে দুটি ক্যান্টিন আর দোকান মিলিয়ে ১৫ বছরের কম বয়সী ১০ জনের বেশি শিশুশ্রমিক রয়েছে। এছাড়া কবি জসীম উদ্দীন হলে ক্যান্টিন, মেস ও দোকান মিলিয়ে ১০ জনের বেশি, জিয়াউর রহমান হলে দুটি ক্যান্টিন ও দোকান মিলিয়ে ১০ জন, বিজয় একাত্তর হলে তিনজন, মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ক্যান্টিন, মেস ও দোকান মিলিয়ে আটজন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে দোকান, ক্যাটিন ও মেস মিলিলে ১০ জনের বেশি শিশুশ্রমিক কাজ করে৷
Advertisement
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের দোকানে কাজ করে ১১ বছর বয়সী রাকিব। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়। কেন সে এত অল্প বয়সে পড়াশোনা রেখে কাজে এসেছে- জানতে চাইলে রাকিব বলে, আমার বাবা নাই। দেশের বাড়িতে মা ও ভাই আছে। অভাবের সংসারে মা ভরণপোষণের খরচ দিতে পারে না। তাই এখানে কাজ করি। আর কোনো উপায় নাই৷ আমার পড়ালেখা করার খুব ইচ্ছে ছিল৷ কিন্তু পড়ার খরচ দিবো কে!
বাড়িতে মা আর ছোট দুই বোন। বোনদের একজনের বয়স ৬ বছর, অন্যজনের ১২ বছর। দুই ভাইয়ের উপার্জিত টাকায় তাদের সংসার চলে। আব্দুর রহিমের মাসিক বেতন ৪ হাজার আর বড় ভাই আব্দুল্লাহর ৮ হাজার টাকা। দুটি ঈদ ছাড়া বছরের আর কোনো সময় তাদের বাড়ি যাওয়া হয় না
একই হলের পাশের দোকানেই কাজ করে রমজান। বয়স তার দশের আশপাশে। বাড়ি কুমিল্লা সদরে। সে-ও পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে এ পেশায় এসেছে। দৈনিক মাত্র দুইশ টাকা মজুরিতে কাজ করছে। বাবাহারা রমজান জানায়, আব্বা মারা গেছে৷ দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ছি৷ এরপর আর স্কুলে যাই নাই৷ কষ্ট করে যা কামাই করি বাড়িতে মায়ের কাছে পাঠাই৷ আমি কাম না করলে মায়ের কষ্ট হইবো৷ তাই কাম করি৷
আরও পড়ুনপ্রাতিষ্ঠানিক কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: প্রতিমন্ত্রীবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাজী নজরুল ইসলাম হলের ক্যান্টিনে কাজ করে চাঁদপুরের শিশুশ্রমিক সিয়াম। কথা হলে জাগো নিউজকে বলে, বাবা থাকতেও নেই৷ আরেকটা বিয়ে করে আমাগো খোঁজ নেয় না৷ বাড়িতে মা আর ছোট বোন আছে৷ সাড়ে চার হাজার টাকা বেতন পাই৷ সবই বাড়িতে পাঠিয়ে দিই৷ ক্যান্টিনে খাই, ক্যান্টিনেই ঘুমাই৷ বেতন যা পাই বাড়িতে পাঠাই। তাতেই খরচ চলে যায়৷
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন এবং ক্যাম্পাসের হোটেল মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনের মতো শিশুশ্রমিক কাজ করে৷ বিশ্ববিদ্যালয়টির নবাব আব্দুল লতিফ হলের ক্যান্টিনে দুই বছর ধরে কাজ করা শফিক বলে, আমার বাবা রিকশা চালায়। বাড়িতে তিন বোন আর দুই ভাই আছে। সংসারে অভাব। বাবার আয় দিয়ে সংসার চলে না। তাই স্কুল বাদ দিয়ে কাজে লাগছি। বেতন তো কম পাই, যা পাই নিজের খরচ বাদে বাকিটা বাড়িতে পাঠাই।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সাগর ক্যান্টিনে ১৪ বছর বয়সী সাকিব নামের এক শিশুশ্রমিক বলে, বাড়িতে উপার্জন করার মতো মানুষ নেই। আগে স্কুলে গেলেও এখন আর যাইতে পারি না। বাড়িতে টাকা পাঠাতে অল্প বয়স থেকেই হোটেলে কাজ করি। আমাগো বেতনও খুব কম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের ক্যান্টিন মালিক বাবুল মিয়া বলেন, এখানে খাবারের দাম খুবই কম। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি সে তুলনায় অনেকটাই বেশি। প্রাপ্তবয়স্ক একজন শ্রমিকের মজুরির সমপরিমাণ টাকা দিয়ে আমি দু-তিনজন শিশুশ্রমিক রাখতে পারি। তারাও সংসারের হাল ধরতে আমাদের দোকানগুলোতে অল্প টাকায় কাজ করে৷ তাদের থাকা-খাওয়া ফ্রি৷ আর যা বেতন পায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়৷
আরও পড়ুনযে কারণে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে শিশুশ্রমচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস ঝুপড়ির জসিম স্টোরে কাজ করে আব্দুর রহিম। বয়স ১৫ বছর হলেও চেহারার হাল দেখে বোঝার উপায় নেই৷ দেখে যে কেউ বলবে বয়স হয়তো ৯-১০ বছর। চার বছর ধরে হোটেলটিতে কাজ করছে সে। আব্দুর রহিমের সঙ্গে এক বছর ধরে একই হোটেলে কাজ করছেন তার ১৮ বছর বয়সী বড় ভাই আব্দুল্লাহ। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে।
আব্দুর রহিম জন্মের পর থেকে তার বাবাকে দেখেছে মাত্র চার-পাঁচবার। তার বাবা পরিবারের খোঁজখবর নেন না। বাড়িতে মা আর ছোট দুই বোন। বোনদের একজনের বয়স ৬ বছর, অন্যজনের ১২ বছর। দুই ভাইয়ের উপার্জিত টাকায় তাদের সংসার চলে। আব্দুর রহিমের মাসিক বেতন ৪ হাজার আর বড় ভাই আব্দুল্লাহর ৮ হাজার টাকা। দুটি ঈদ ছাড়া বছরের আর কোনো সময় তাদের বাড়ি যাওয়া হয় না। তারা হোটেলেই খায়, হোটেলের মেসেই ঘুমায়।
আব্দুর রহিম জাগো নিউজকে বলে, গরিব মানুষ আমরা৷ বাড়িতে ইনকাম করার কেউ নাই৷ বাপেও খোঁজ নেয় না৷ আমরা দুই ভাই যা ইনকাম করি তা দিয়েই মা ও বোনদের চলে যায়। অভাবের সংসারে পড়ালেখা করার সুযোগ হয় নাই৷
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া ও দোকানগুলোতে শিশুরা কাজ করছে৷ একেবারেই সামান্য বেতনে কাজ করা এই শিশুদের পরিবারেরও রয়েছে নানা ট্র্যাজেডি৷ অনেকটা বাধ্য হয়েই পরিবারের হাল ধরতে তাদের নামানো হয় শিশুশ্রমে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম আজম জাগো নিউজকে বলেন, দারিদ্র্য শিশুশ্রমের জন্য অবশ্যই দায়ী৷ বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ বা অন্য কারণেও ছেলেমেয়েরা পরিবারের কাছ থেকে সঠিক আদর-যত্ন পায় না৷ একসময় তারা কারও না কারও মাধ্যমে মোটিভেটেড হয়ে শহরে চলে আসে৷
‘যারা এদের ঢাকায় নিয়ে আসে অর্থাৎ ঢাকায় এই শিশুদের যারা অনানুষ্ঠানিক অভিভাবক তারা মাঝখান থেকে কিছুটা আর্থিক সুবিধা ভোগ করে৷ আমরা দেখি শিশুশ্রমিকরা ক্যান্টিনে কাজ করে খুবই অল্প বেতন পায়৷ আবার দিনের কাজ শেষে রাতে তারা ক্যান্টিনেই ঘুমায়৷’
তিনি বলেন, এ অবস্থার জন্য পরিবারের আর্থিক অভাব, সেবার অভাব ও অভিভাবকের অভাব দায়ী৷ এজন্য শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে৷ এই শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কল্যাণমুখী নানা উদ্যোগ আছে। কিন্তু সেগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না বা আমরা ফল সেভাবে দেখতে পাচ্ছি না৷ সমস্যা সমাধানের জন্য পারিবারিক বা সামাজিকভাবে তাদের পুনর্বাসন করা বা এ ধরনের কোনো চেষ্টা জনগণের মধ্যেও নেই৷
সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে এই শিশুদের শিক্ষার মধ্যে ফিরিয়ে আনা এবং তাদের মানসিকভাবে সাপোর্ট দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের মাধ্যমেই শিশুশ্রম কমিয়ে আনা সম্ভব৷
আরও পড়ুনশিশুশ্রম রোধে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ জাগো নিউজকে বলেন, দেশের মানুষের নীতি নৈতিকতায় ধস নেমেছে৷ সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য চরমে পৌঁছেছে৷ দেশের বেশিরভাগ অর্থই একশ্রেণির মানুষের হাতে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনগুলোতে যারা কাজ করে এদের বাবা বা পরিবারের প্রধান দেখা যায় কেউ রিকশাচালক, কেউ অন্যের জমি বর্গা চাষি, কেউবা দিনমজুর৷ তারা যা ইনকাম করে সেই অর্থ দিয়ে বর্তমান সময়ে খেয়ে-পরে বাঁচাই সম্ভব নয়৷
‘তারা যদি ঢাকা শহরে আসে তাদের থাকার জায়গা থাকে না৷ পড়াশোনার সুযোগ থাকে না৷ এক পর্যায়ে এরাই হলে এসে কাজ করে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে সিমপ্যাথির একটা বিষয় আছে৷ কিন্তু বাস্তব জীবনে এসব শিশুর যে মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা কোনোটিই তারা পাচ্ছে না৷ তাই মানবিক দিক থেকে তাদের পরিবারের দিকে তাকিয়ে এগুলো বন্ধ করা সম্ভব হয় না৷’
ড. সামাদ আরও বলেন, দেশে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য না কমলে সরকার আইন করতে পারবে, পলিসি করতে পারবে, কিন্তু এ ধরনের সমস্যার সমাধান হবে না৷ সরকার যদি এদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয় অথবা এনজিওর মাধ্যমে সহায়তা বা সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে এ ধরনের শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব হবে৷
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারপারসন মো. মাহবুবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ২০১৫ সালের পরে রাস্তায় কোনো শিশু থাকবে না, পথে কোনো শিশু থাকবে না৷ কিন্তু বাস্তবে কি আমরা সেটা দেখছি? সরকার ঘোষণা দিয়েছিল ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনো শিশুশ্রম থাকবে না৷ ২০২৫ সাল তো খুবই নিকটে৷ কিন্তু আমরা কতদূর এগোতে পারলাম!
‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসলে আমাদের সমাজের বিবেক৷ এখানে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে স্বীকৃত এবং মেধাবী ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করতে আসে৷ আবার এখানকার যারা শিক্ষক রয়েছেন তারা সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রাখেন। তারা টকশো করেন আবার নীতি-নৈতিকতার বিভিন্ন উপদেশও দেন৷ ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিশুশ্রম অবশ্যই বন্ধ করা উচিত৷ মূলত, অর্থনৈতিক কারণেই শিশুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে কাজ করতে বাধ্য হয়।’
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুশ্রমিকদের নির্দিষ্ট শ্রমঘণ্টাও নেই। তাদের অতিরিক্ত সময় কাজ করানো হয়৷ অনেক ক্ষেত্রে তারা ভালো খাবারও পায় না। রাতে ঘুমাতে দেওয়া হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। এসব কারণে এই শিশুরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে৷
এনএস/এমকেআর/জিকেএস