সারাদেশে এখনও ১৮ লাখের বেশি বিড়িশ্রমিক কারখানায় কাজ করছেন। দেশের প্রাচীন ও শ্রমঘন এ শিল্পের কারিগররা ভালো নেই। বিদেশি ট্যোবাকো কোম্পানির দৌরাত্ম্যে বিড়িশিল্প হুমকির মুখে। করুণ দশা শ্রমিকদেরও। জীবন-জীবিকার তাগিদে অতি নিম্ন মজুরিতে এখনো বিড়ি কারখানায় পড়ে আছেন শ্রমিকরা। সিগারেটের দাম বাড়িয়ে এ শিল্পকে বাঁচাতে এবং শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তারা।
Advertisement
বুধবার (১ মে) মে দিবসে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত র্যালি ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান বিড়ি শ্রমিকরা। এ দিন সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে বিড়িশিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোনো শুল্ক ছিল না, তাই আগামী বাজেটে বিড়ির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার এবং নিম্নস্তরের প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ টাকা থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধির দাবি জানান শ্রমিকরা।
বিড়িশ্রমিক ও বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা জানান, বিড়িশিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ শিল্পের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল। তিনি এ শ্রমঘন শিল্পটি শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন।
Advertisement
তারা আরও বলেন, বর্তমানে দেশের ১৮ লাখ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বিড়িশিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা জরুরি। একই সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষের কর্ম রক্ষার্থে বঙ্গবন্ধুর সময়ের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও বিড়ি শিল্পের ওপর থেকে শুল্ক এবং অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন।
এসময় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসেন, সহকারী সম্পাদক আবুল হাসনাত লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান প্রমুখ।
এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম
Advertisement