ক্যাম্পাস

কুবিতে প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

শিক্ষকদের ওপর হামলা করে ৬ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে উল্টো থানায় অভিযোগ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। তবে অনুমতি ছাড়াই শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাহেদুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর ও একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোশারফ হোসাইনকে জিডির সাক্ষী বানানো এবং চলমান সংকট নিরসনে উপাচার্য কর্তৃক কার্যত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পদত্যাগ করেছেন তারা।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রেজিস্ট্রার দপ্তর বরাবর পাঠানো পৃথক দুটি পদত্যাগপত্র সূত্রে বিষয়টি জানা যায়৷

পদত্যাগপত্রে মো. সাহেদুর রহমান উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা-কার্যক্রম চলাচলে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা দিনদিন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমি বর্তমান প্রশাসনের অংশ হিসেবে উক্ত সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।

পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে আমি কাজ করতে স্বস্তিবোধ করছি না। আমার অনুমতি ছাড়াই উপাচার্য থানায় যে অভিযোগ করেছেন সেখানে আমাকে সাক্ষী বানানো হয়েছে। তাই আমি পদত্যাগ করেছি।

Advertisement

পদত্যাগপত্রে মো. মোশারফ হোসাইন উল্লেখ করেন, গত বেশ কিছুদিন ধরে সৃষ্ট চলমান সংকট নিরসনে মাননীয় উপাচার্য কর্তৃক কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় একজন শিক্ষক হিসেবে এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে বিব্রতবোধ ও অনীহা প্রকাশ করছি। একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকদের সকল দাবিদাওয়ার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে প্রশাসনিক পদ (সহকারী প্রক্টর) থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, এভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। অনুমতি ছাড়াই জিডির সাক্ষী বানানোর বিষয়ে প্রশাসনের কাছে যখন জানতে চাই তখন তারা সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বে আছি বিধায় আমার নাম দিয়েছেন বলে জানান। অথচ এই ব্যাপারে আমাকে আগে কিছুই জানানো হয়নি।

অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাদী পক্ষ মো. ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকীর নির্দেশে আমি ওই শিক্ষকদের নাম দিয়েছি। আমার তাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।

উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম, তৎপরবর্তী সংকট এবং সংকট নিরসনে বাস্তবিক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে উল্টো শিক্ষকদের ওপর বহিরাগত ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীদের দিয়ে হামলা করার প্রতিবাদে এই পর্যন্ত মোট ১৯ জন শিক্ষক বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

Advertisement

জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/জেআইএম