কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের অপসারণ দাবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। একইসঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (২৯ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা শেষে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এতথ্য জানান।
এরআগে উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মঈনসহ ২০ জনের নামে থানায় অভিযোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শিক্ষকদের কেউ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে কোনো ধরনের কার্যক্রম সহযোগিতা করবেন না।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী ও আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখের সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে নোটিশ পাঠানো হবে।
যারা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছেন তাদের সনদ বাতিল করার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেওয়া হবে জানিয়ে অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করা হবে। তবে গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন
কুবি উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের ধস্তাধস্তিসমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, হামলাকারীদের ও সন্ত্রাসী উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানাই।
Advertisement
এদিকে, শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবু তাহের বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করেছেন তিনি। এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, রোববার (২৮ এপ্রিল) দিনগত রাতে শিক্ষক সমিতি নেতারা উপস্থিত হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ ২০ জনের নামে অভিযোগ করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, রোববার দুপুর ১টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে শিক্ষক সমিতির লাগানো তালা ভাঙতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মঈন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রলীগের চিহ্নিত বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। একপর্যায়ে উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে নিচতলায় শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করা শিক্ষক সমিতির নেতারা তাকে বাধা দেন। এসময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে শিক্ষককরা উপাচার্যকে কক্ষে পৌঁছে দেন। পরে সাহায্যকারী শিক্ষক ও বহিরাগতরা নিচে নামলে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/এমএস