বিয়ের দাবিতে ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হাসান বিজয়ের বাড়িতে হাজির হয়েছেন ঢাকার এক টিকটকার তরুণী শিমরান সাদিয়া। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়ের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরের দিকে ওই টিকটকার তরুণী আরও এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে ফেনীর সোনাগাজীর চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসে চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সহযোগিতা চান। এ সময় তরুণী নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেন এবং ছাত্রলীগ নেতা বিজয়কে বিয়ে করার কথা জানান। পরে তার কথামতো ইউপি চেয়ারম্যান চারজন গ্রাম পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ওই তরুণীকে ইউনিয়নের ওলামা বাজার এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের বাড়িতে পাঠান।
গ্রাম পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা বিজয়ের বাড়িতে পৌঁছালে দরজার সামনে সে আমাদের অপেক্ষা করতে বলে তরুণী ও সঙ্গে থাকা মেয়েকে ঘরে নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় মানুষও সাংবাদিকরা বিজয়ের বাড়িতে গেলে বের হয়ে বিজয় তাদের সঙ্গে কথা শেষ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানায়। অপেক্ষার এক ঘণ্টার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বিজয় তাদের নিয়ে বাড়ির পেছন দিক দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন বলেন, দুপুরের দিকে এক তরুণী সঙ্গে আরও এক মেয়েকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এসে ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলেন। তখন তারা বিজয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা চান। পরে আমি গ্রাম পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে তাদের বাড়ি পাঠিয়েছি। গ্রাম পুলিশ সদস্যরা বাইরে অবস্থানকালে বিজয় তাদের নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যান বলে জানতে পেরেছি। তবে সর্বশেষ রাত ১০টার দিকে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তখন বিজয় তাদের ফেনী শহরের মহিপাল এলাকায় জিম্মি করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
Advertisement
এদিকে সন্ধ্যায় এ ঘটনায় সংগঠন বহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে ইকবাল হাসান বিজয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন বলেন, ঘটনাটি অবগত হয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত বিজয়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় পলাশ বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে অবগত হয়েছি। তবে থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এফএ/জেআইএম