কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলা তদারকি করতে মামলার তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান সিআইডি ঢাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি দল আবারো কুমিল্লায় এসেছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উচ্চ পর্যায়ের এ দলটি কুমিল্লা সেনানিবাসে প্রবেশ করেন।তনুর মরদেহ পাওয়ার স্থান পুনরায় পরিদর্শন ও মামলার বিষয়ে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ছাড়াও এ প্রতিনিধি দল বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। দুপুর সোয়া ১ টায় মুঠোফোনে সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান জানান, ‘মামলার তদন্তে ঢাকার সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা এখন সেনানিবাসের ভেতর রয়েছি। সেখানে মামলার বিষয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’জানা যায়, গত ২০ মার্চ তনু হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ও ডিবির হাত বদল হয়ে মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন কুমিল্লা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিম। গত ৩০ মার্চ সিআইডি ঢাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আখন্দকে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে মামলার তদারকি করতে সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আখন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের এ দলটি গত ২, ৩ ও ৭ এপ্রিল সেনানিবাস এলাকায় তনুর মরদেহ উদ্ধারের স্থানসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় এ দলটি তনুর মা-বাবা, ডাক্তার, নার্সসহ কিছু সামরিক ও বেসামরিক লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সর্বশেষ গত ১০ এপ্রিল সিআইডির ডিআইজি (ক্রাইম-ইস্ট) মো. মাহবুব মোহসিনের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি দল কুমিল্লা সেনানিবাসে আসেন। এ সময় উচ্চ এ দলটি কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের এরিয়া কমান্ডার ও জিওসি মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্লাহ ও স্টেশন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তারা তনুর মরদেহ পাওয়ার স্থান পরিদর্শন ও তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। কিন্তু সিআইডির এতো সব দৌড়ঝাপের মাঝে ঘটনার প্রায় ১ মাসেও হত্যার রহস্য বের করতে পারেনি সিআইডি, র্যাব, পুলিশ, পিবিআই, ডিবিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা। কামাল উদ্দিন/এসএস/এমএস
Advertisement