প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকতে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না আর্সেনালের। তা জেনে-বুঝেই মাঠে নেমেছিল মিকেল আরতেতার দল। যে কারণে শুরু থেকেই আর্সেনাল ছিল দুর্দান্ত। প্রথমার্ধেই তারা এগিয়ে গিয়েছিল ৩-০ গোলে।
Advertisement
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে টটেনহ্যাম। এই অর্ধে নিজেরা দুই গোল করার পাশাপাশি আর্সেনালকে কোনো গোল করতে দেয়নি টটেনহ্যাম। ফলে শেষ দিকে দারুণ অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েছিল আর্সেনাল। যদিও শেষ পর্যন্ত গানারদের কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়ে নিতে পারেনি টটেনহ্যাম। ৩-২ গোলে জিতে টেবিলের শীর্ষেই রয়ে গেছে আর্সেনাল।
৩৫ ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট ৮০। আর্সেনাল যখন ম্যাচটি জিতে তখন ৩৩ ম্যাচে ম্যাচে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পর নটিংহ্যাম ফরেস্টকে নিজেদের ৩৪ ম্যাচে হারায় সিটি। এতে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের একেবারে কাছে চলে এসেছে পেপ গার্দিওলার দল। আর ৩৫ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে আছে লিভারপুল।
আর্সেনাল প্রথমার্ধের ৩ গোলের একটি পায় হটস্পারের আত্মঘাতী গোল থেকে। ১৫ মিনিটে প্যাইরি এমিলি হজবার্গের ভুলে আর্সেনাল এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। এরপর গানারদের হয়ে গোল করেন বুকায়ো সাকা (২৭ মিনিটে) ও কাই হ্যাভার্টজ (৩৮ মিনিটে)।
Advertisement
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে বলা যায় টটেনহ্যামকে একটি গোল উপহার দিয়েছেন আর্সেনালের গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। রায়ার দুর্বল পাস থেকে বল নিজের দখলে নিয়ে আর্সেনালের জালে জমা করেন রায়া।
৮৭ মিনিটে পেনাল্টি এরিয়াতে টটেনহ্যামের বেন ডেভিসকে ফাউল করেন আর্সেনালের ডেকলান রিসি। এতে ভিএআর দেখে আর্সেনালের বিপক্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। সেই পেনাল্টিকে গোলে রূপান্তর করেন সন হিউং মিন। এতে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচের ফলাফল ৩-২ করে টটেনহ্যাম।
ম্যাচ শেষে আর্সেনালের কোচ মিকেল আরতেতা বলেন, ‘আমি ম্যাচের শেষ দিকে প্রার্থনা করছিলাম। এটি সত্যিই একটি আবেগপূর্ণ খেলা ছিল। এটি একটি কঠিন জায়গা (জয় নিয়ে আসা) এবং একটি দুর্দান্ত দলের বিপক্ষে খেলেছি। আমাদের ভুগতে হতো।’
আর্সেনালের কোচ হিসেবে গতকাল দারুণ একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন আরতেতা। টটেনহ্যামের বিপক্ষে জিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। গারনারদের কোচ হিসেবে গতকাল ১০০তম জয় পেয়েছেন আরতেতা।
Advertisement
এমএইচ/জেআইএম