আন্তর্জাতিক

প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের উচিত অংশীদার হওয়া: জিনপিং

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীনা প্রেসিডেন্ট মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে একে অপরের অংশীদার হওয়া উচিত, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। দুই দেশের মধ্যে এমন অনেক সমস্যা রয়েছে, যা পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেইজিংয়ে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

Advertisement

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন এই মুহূর্তে চীন সফরে রয়েছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি সাংহাই পৌঁছান। সেখানে তিনি চীনা শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর শুক্রবার বেইজিংয়ে যান। এরপর বেইজিংয়ের গ্রেট হলে চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিনপিং আরও বলেছেন, আমি তিনটি প্রধান নীতি প্রস্তাব করেছি। সেগুলো হলে- পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সমান সমান সহযোগিতা। চীন একটি সমৃদ্ধ ও উন্নয়নশীল যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায়।

দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জিনপিং বলেন, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক কিছুটা ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে এখনো বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে যেগুলোর সমাধান করা দরকার এবং এক্ষেত্রে আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

Advertisement

‘যখন এসব মৌলিক সমস্যার সমাধান হবে, তখনই সত্যিকার অর্থে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থিতিশীল হতে পারে ও সামনের দিকে এগোতে পারে। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রও চীনের উন্নয়নের ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আনবে।’

জিনপিংয়ের আগে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। ওই বৈঠককে বিশাল ও গঠনমূলক বলে অভিহিত করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে অবশ্য রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্লিঙ্কেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর ও মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি রুশ প্রতিরক্ষা শিল্পে চীনের সমর্থনের বিষয়ে সৃষ্ট উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। গত এক বছরের মধ্যে ব্লিঙ্কেনের দ্বিতীয় চীন সফর এটি। গত বছরের জুনে চীন সফর করেছিলেন তিনি। সেই সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনা কিছুটা কমেছিল। এরপর ওই বছরের নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে বাইডেন ও জিনপিংয়ের বৈঠক হয়। প্রেসিডেন্ট পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরেকটু কমে আসে। ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আর খারাপ না হলেও এখনো বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে, তাইওয়ান নিয়ে দুই দেশের মধ্যে এখনো যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। আবার ইউক্রেন যুদ্ধে চীন যেভাবে রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, তাতেও ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: এএফপি, আল জাজিরা

Advertisement

এসএএইচ