লাইফস্টাইল

তীব্র গরমে শরীরে পানি ঘাটতি পূরণ করবে যেসব ফল

এই অসহ্য গরমে জনজীবন অতীষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রচণ্ড গরমে ঘেমে নেয়ে সবাই একাকার। আর এ কারণে অনেকের শরীরে পানিশূন্যতাও দেখা দিচ্ছে। আসলে ঘামের সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় পানি অনেকটাই বের হয়ে যায়। সেই ঘাটতি পূরণ না হলে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা।

Advertisement

তবে শুধু গরমের কারণেই নয়, ডায়রিয়া, বমি, জ্বর ইত্যাদির জন্যও দেখা দিতে পারে শরীরে পানির ঘাটতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে পানির পাশাপাশি খনিজ পদার্থেরও ঘাটতি হয়। তাই এ সময় ডাব, স্যালাইন ইত্যাদি পান করতে পারেন।

আবার পটাশিয়ামের অভাব পূরণের জন্য নিয়মিত পাকা কলাও খেতে পানে। তবে এড়িয়ে চলতে হবে কফি খাওয়া। অতিরিক্ত কফি শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে। তাই গরমে কফি ও তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। তবে বেশ কিছু ফল আছে, যা আপনার শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করতে পারবে। যেমন-

লেবু

Advertisement

গরমে প্রশান্তি পেতে কমবেশি সবাই লেবুর শরবত পান করেন। ভিটামিন সি যুক্ত এই ফলের রস আপনাকে সতেজ অনুভূতি দেবে সারাদিন। তবে লেবুর শরবতে খুব বেশি চিনি মেশাবেন না।

লেবুতে থাকা পটাশিয়াম শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ঘামের কারণে শরীরে খনিজের যে ঘাটতি তৈরি হয় তার অনেকটাই পূরণ করে লেবু। লেবুর প্রায় ৮৮ শতাংশই পানি।

তরমুজ

গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ। বাজারে বেশ সহজলভ্য ফলটি। গরমে একটু স্বস্তি পেতে খেতে পারেন এই ফল। এটি শরীরে জলের অভাব পূরণ করে। তরমুজে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি পানি থাকে।

Advertisement

আরও পড়ুনগরমে সুস্থ থাকতে দিনে কতটুকু পানি পান করবেন? এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন? 

ফলে পানিশূন্যতা রোধে এটি হতে পারে একটি উপকারী খাবার। সঙ্গে আছে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লাইকোপিন ও ম্যাগনেসিয়াম। যা তীব্র গরমেও আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

টমেটো

টমেটো এখন প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। টমেটো রান্না কিংবা কাঁচা, যেভাবেই খাবেন তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন কাঁচা খেলে।

এতে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন সি, ক্রোমিয়াম, ফোলেট, ফাইবার, পটাশিয়াম ও ফাইটোকেমিক্যালের উপকারী পুষ্টি। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত টমেটো খেলে ক্যানসার, হৃদরোগ ও অটোইমিউন ডিসঅর্ডারের ঝুঁকিও কমতে পারে।

শসা

গরমের আরেকটি সেরা ফল হল শসা। এটি পানিশূন্যতা রোধ করতে সাহায্য করে। শসায় আছে ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম। শসার প্রায় ৯৫ শতাংশই পানি।

এই ফলের সবচেয়ে উপকারী গুণ হলো, এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম।নিয়মিত শসা খেলে দূর হয় শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ। এটি ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে। শসা খেলে গরমে শরীর ঠান্ডা থাকে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

জেএমএস/জিকেএস