রাঙ্গামাটির সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে ছয়জনের বাড়িই ময়মনসিংহে। এদের মধ্যে পাঁচজন ঈশ্বরগঞ্জ ও একজন গৌরীপুরের বাসিন্দা। নিহত সবাই নির্মাণশ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাজেকের নব্বই ডিগ্রি এলাকায় সাজেক-উদয়পুর সীমান্ত সড়কে ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ময়মনসিংহের নিহতরা হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রিয়াছত আলী ভূঁইয়ার ছেলে এরশাদুল (৪২), তারুন্দিয়া ইউনিয়নের গিরিধরপুর গ্রামের শহীদুল্লাহর ছেলে শাহ আলম (২৮), একই ইউনিয়নের শ্রীফুরজিথর গ্রামের চান মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (২১), হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন মিয়া (২০), নজরুল ইসলামের ছেলে মোহন মিয়া (১৭) ও গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে তপু হাসান (১৭)।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্ত শেষে ৭ মরদেহ হস্তান্তর, একজনের স্বজনদের সন্ধান মেলেনিবৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মরদেহ বাড়িতে না পৌঁছালেও পরিবারে শোকের মাতম চলছে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Advertisement
তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রানা জাগো নিউজকে বলেন, সাজেকের দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে চারজনের বাড়ি আমার ইউনিয়নে। এ ঘটনায় আমি নিজেও খুবই মর্মাহত।
বড়হিত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল হক ভূইয়া মিলন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রিয়াছত আলী ভূইয়ার ছেলে এরশাদুল সাজেক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। শুনেছি মরদেহ নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছে।’
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম প্রিন্স জাগো নিউজকে বলেন, নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে থেকে প্রতি পরিবারে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বিধি মোতাবেক নিহতদের পরিবারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় জাগো নিউজকে বলেন, ওই দুর্ঘটনায় মইলাকান্দা ইউনিয়নের একজন মারা গেছেন। আরেকজন আহত হয়েছেন। মরদেহ নিয়ে স্বজনরা বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন।
Advertisement
মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/জেআইএম