জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নির্দেশ ছিল-তিন ফ্রন্টলাইন পেসার তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে বিশ্রাম দিতে।
Advertisement
গাজী গ্রুপের বিপক্ষে বৃস্পতিবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তিন ফ্রন্টলাইন পেসারকে ঠিকই বিশ্রাম দিয়েছে আবাহনী। কিন্তু অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে খেলিয়েছেন আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
দলে এক ঝাঁক ক্রিকেটার। ব্যাকআপ পারফরমারও প্রচুর। তারপরও ব্যাটার শান্তকে বাইরে রাখেননি কোচ। কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসলো, গাজী গ্রুপের প্রধান বোলার হলেন রুয়েল মিয়া। ১২ ম্যাচে ২৬ উইকেট শিকার করে যে বাঁহাতি পেসার উইকেট শিকারে সবার ওপরে। তার বিপক্ষে বাঁহাতি শান্ত হতে পারেন সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র। তাই তাকে বাইরে রাখেননি কোচ সুজন।
খেলানোর সুফলটা ঠিকই পেয়েছে আবাহনী ম্যানেজমেন্ট। তিন নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন আবাহনী তথা জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের ক্যাপ্টেন শান্ত। আর রুয়েল মিয়া একদমই সুবিধা করতে পারেননি। লিগে সবচেয়ে খারাপ দিনটি কেটেছে বাঁহাতি এই পেসারের। তার ১০ ওভারে আবাহনী ব্যাটাররা তুলে নিয়েছেন ৭৯ রান।
Advertisement
শুরু থেকেই আবাহনী ব্যাটারদের দাপট ছিল ফতুল্লায়। কম বেশি সবাই ভালো খেলেছেন। নাইম শেখ (৩৩), লিটন দাস (৩৩), এনামুল হক বিজয় (৬৮), তাওহিদ হৃদয় (৫৮ অপরাজিত) আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (৩৩ অপরাজিত) সবার ব্যাটেই রানের ফলগুধারা।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত করেছেন সেঞ্চুরিই। ৮৪ বলে ৬ ছক্কা আর ৮ বাউন্ডারিতে ১০১ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস উপহার দিয়ে দলকে ৩০০‘র ঘরে পৌঁছে দিতে শান্তই রেখেছেন সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা।
তবে চ্যাম্পিয়নদের রানটা ৩৪০‘র ঘরে (৩৪৩) পৌঁছে দেয়ার কৃতিত্বটা হৃদয়ের। পাঁচ নম্বরে নেমে ৪০ বলে ৪টি ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ৫৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন হৃদয়। মোসাদ্দেক সৈকতও কম যাননি। ১৭ বলে তিন বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
জবাবে প্রথম ওভারে তরুণ মারকুটে ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন আবাহনী পেসার খালেদ হোসেনের ইয়র্কারে বোল্ড হলে গাজী গ্রুপ ধাক্কা খায়। অপর মারকুটে ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান চেষ্টা করলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ৩৪ বলে তিন ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ৩৮ রান করে হাবিবুর রহমান সোহান আবাহনীর মোসাদ্দেকের অফস্পিনে লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়িয়ে বিদায় নেন।
Advertisement
তারপর গাজী গ্রুপের হয়ে লড়াই করেছেন কেবল সাব্বির হোসেন শিকদার (৬৮ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬২)। আবাহনীর বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান ৪ উইকেট দখল করলে ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোরআবাহনী: ৫০ ওভারে ৩৪৩/৫ (নাইম শেখ ৩৩, লিটন দাস ৩৩, নাজমুল শান্ত ১০১, এনামুল বিজয় ৬৮, তাওহিদ হৃদয় অপরাজিত ৫৮, জাকের আলী অনিক ১১, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত অপরাজিত ৩৩; শেখ পারভেজ জীবন ২/৫০, রুয়েল মিয়া ১/৭৯, জীবন ১/৭৫, ফয়সাল আহমেদ ১/৪১)গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৩৫.১ ওভারে ১৭২/১০ (পিনাক ঘোষ ১৯, আনিসুল ইসলাম ইমন ০, হাবিবুর রহমান সোহান ৩৮, প্রীতম কুমার ১৮, সাব্বির হোসেন শিকদার ৬২, মঈন খান ১৪; রাকিবুল হাসান ৪/৪৪, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২/৩৪, তানজিম সাকিব ২/৫৩, খালেদ আহমেদ ১/২১, তানভীর ইসলাম ১/২০)
ফল: আবাহনী ১৭১ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: নাজমুল হোসেন শান্ত (আবাহনী)।
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম