মেয়ের বাড়ি থেকে গরু কেনার জন্য টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নাজমা আক্তার। মাঝপথে হাতে ছুরিকাঘাত করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেন তার চার ভাই। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর ছেলে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরে টেংগাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার উপজেলার সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের হাছলা গ্রামের মৃত নবাব মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্তরা হলেন নবাব মিয়ার ছেলে শফিক মিয়া (৩৫), আনিছুর রহমান (৪৫), মুশফিকুর রহমান (৩৮) ও বাবু মিয়া (৩৭)।
অভিযোগ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার নেত্রকোনা শহরে মেয়ের কাছ থেকে গরু কেনার দুই লাখ টাকা নেন নাজমা আক্তার। এসময় তার ছেলে এবং তার চার ভাই পাশে ছিলেন। পরে টাকা নিয়ে সন্ধ্যায় বাসে করে মোহনগঞ্জের উদ্দেশ্য রওয়ানা করেন নাজমা। সঙ্গে ছেলে ও চার ভাইও আসেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে জেলার মোহনগঞ্জ পৌরশহরে নেমে অটোরিকশায় ওঠার সময় নাজমার হাতে ছুরিকাঘাত করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ওই চার ভাই। এসময় ব্যাগে থাকা সোনার চেইনও নিয়ে যান তারা।
Advertisement
মাকে বাঁচাতে গেলে ছেলে মুশফিকুজ্জামান ইফাতকেও আহত করে চলে যান ওই চারজন। পরে নাজমাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাজমার ছেলে মুশফিকুজ্জামান ইফাত বাদী হয়ে তার চার মামার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার বলেন, ‘মেয়ের কাছ থেকেে গরু কেনার জন্য দুই লাখ টাকা নিয়ে আসি। টাকা নেওয়ার সময় আমার ছেলে ও চার ভাই (দুজন সৎভাই) সঙ্গে ছিল। টাকাগুলো ও একভরি ওজনের সোনার চেইন ব্যাগে রেখে সবাই একসঙ্গে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই। মোহনগঞ্জ পৌঁছেই চার ভাই আমার ব্যাগ নেওয়ার জন্য টানাটানি শুরু করে। বাধা দিতেই হাতে ছুরিকাঘাত করে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আমার ছেলে তাদের আটকাতে গেলে তাকেও কিল- ঘুসি মেরে আহত করে চলে যায়।’ এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চারজন পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচ এম কামাল/এসআর/জিকেএস
Advertisement