সকালে ডাকঘরের অফিসের সামনের কেচিগেট খুলেই লাপাত্তা হয়ে যান পোস্ট মাস্টার। অফিস রুমের দরজায় ঝুলতে থাকে বড় তালা। বিকেল হলে আবার কেচিগেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে দিনের পর দিন ডাক বিভাগের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
Advertisement
এরমধ্যে নতুন করে অফিস রুমে পোস্ট মাস্টার মনিরুল ইসলাম শুরু করেছেন আইসক্রিমের ডিলারের ব্যবসা। অফিসের মধ্যেই ফ্রিজভর্তি আইসক্রিম রেখে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের সুকদেব শাখার পোস্ট অফিসে চলমান এমন কাণ্ডে হতবাক সবাই।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল হলেই ডাকঘরের সামনের কেচিগেট খুলে অফিস রুমে বড় তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের সুকদেব শাখা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার (ইডিএ) মো. মনিরুল ইসলাম। বিকেল হলেই সামনের কেচিগেটে আবার তালা ঝুলিয়ে দেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলছে। এরমধ্যে কিছুদিন ধরে পোস্ট অফিসের অফিস রুমের ভেতর বেশ কয়েকটি ফ্রিজ রেখে তার ভেতর স্যাভয় কোম্পানির আইসক্রিম ভর্তি করে চালিয়ে যাচ্ছেন আইসক্রিম ডিলারের ব্যবসা। স্থানীয়রা জানান, সুকদেব শাখা ডাকঘরের শাখা পোস্ট মাস্টার মো. মনিরুল ইসলাম সরকারি ডাকঘরটিকে পরিণত করেছেন তার আইসক্রিমের গোডাউনে। বেশ কিছুদিন আগে তিনি স্যাভয় আইসক্রিম কোম্পানির ডিলারশিপ নিয়েছেন। আর তাই ঈদুল ফিতরের ৫-৭ দিন আগ থেকে ডাকঘরের ভেতর ওই কোম্পানির ফ্রিজ রেখে তার মধ্যে আইসক্রিম ভর্তি করতে থাকেন। আর প্রতিদিন ডাকঘর থেকেই আইসক্রিম নিয়ে বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন।
তারা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে পোস্ট মাস্টার মো. মনিরুল ইসলাম ডাকঘরে অফিস না করায় সেবা নিতে আসা মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন ডাক বিভাগের সেবা থেকে। নামমাত্র সেবাও জুটছে না সাধারণ মানুষের ভাগ্যে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে ডাক বিভাগের সেবা চান তারা।
Advertisement
এদিকে অভিযোগ স্বীকার করে সুকদেব শাখা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতের ইউনিট খরচ না হওয়ায় তিনি সেখানে আইসক্রিম ভর্তি ফ্রিজ রেখেছেন। আর মাঝেমধ্যে ডাকঘর বন্ধ করে হাসপাতালে অসুস্থ আত্মীয়-স্বজন দেখতে ও নিজের ডাক্তার দেখাতে যান। কিন্তু নিয়োমিত অফিস করেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা পোস্ট মাস্টার মো. কামরুল আহসান জানান, সুকদেব ডাকঘরে ফ্রিজ রেখে আইসক্রিম ব্যবসা ও নিয়োমিত অফিস না করায় ওই শাখার পোস্ট মাস্টার মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানকে কেউ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারে না।
এফএ/জিকেএস
Advertisement