দেশজুড়ে

মিরসরাইয়ে দাফনের ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উত্তোলন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আদালতের নির্দেশে দাফনের ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তা আজম খানের (৪৬) মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

Advertisement

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ। এসময় মামলার বাদী আজম খানের ছোট বোন নার্গিস আক্তার ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

মরদেহ উত্তোলনের পর আজম খানের স্ত্রী ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্বজনরা।

আজম খানের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হৃদরোগে আজম খানের মৃত্যু দাবি করলেও মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা ও সন্দেহ থাকায় হত্যা মামলা করেন আজম খানের বোন নার্গিস আক্তার।

Advertisement

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক ঝগড়া ও মারামারির ঘটনায় আজম খান ও তার স্ত্রী দুজনই আহত হন। তাদের আহতের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার দুদিন পর গত ৯ এপ্রিল মৃত্যু হয় ব্যাংক এশিয়া ফেনীর ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার আজম খানের। হাসপাতাল থেকে আজম খানের মৃত্যু হৃদরোগে বলা হলেও স্বজনরা সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে স্ত্রী কামরুন নাহার (৩৬), স্ত্রীর বড় বোন লুৎফর নাহার (৩৯), বড় বোনের ছেলে তানভীর (৩১) ও স্ত্রীর ভাই ফারুকসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন বোন নার্গিস আক্তার। পরে আজম খানের স্ত্রী কামরুন নাহারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে, মরদেহ উত্তোলনের পর প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন নিজামপুর কলেজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাসুদ খান। তিনি বলেন, মৃত্যুর ১৫ দিন পর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহের গায়ের চামড়া এক প্রকার উঠে গেছে, পচন ধরে গেছে। এর বাইরে কিছু বলতে পারছি না।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকি বিষয়গুলো আদালত ও পুলিশের কাজ।

এম মাঈন উদ্দিন/এসআর/জিকেএস

Advertisement